‘আগন্তুক’ হওয়ার কথা ছিল ওয়েব ফিল্ম: পূজা চেরি
ঈদে মুক্তি পাওয়া পাঁচ সিনেমার একটি ‘আগন্তুক’। এতে প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন চিত্রনায়িকা পূজা চেরি ও অভিনেতা শ্যামল মাওলা। ঈদের দিনগুলো এ হল থেকে ও হলে ঘুরে ঘুরে কেটেছে পূজার। সময়ে সময়ে গণমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে এসেছেন তিনি। নিজের সিনেমার বিষয়ে বলেছেন নানা কথা।
‘আগন্তুক’ হওয়ার কথা ছিল ওয়েব ফিল্ম। এমনটাই জানালেন পূজা। বললেন, এ কাজটি আমি শুরু করেছিলাম ওয়েব ফিল্ম হিসেবে। সেই হিসেবেই কাজ করছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করে আমাদের টিমের মনে হলো—এটি সিনেমা। অনেক সিনেমা ওয়েব ফিল্মের মতো হয়ে যায়, কিন্তু ওয়েব ফিল্ম করতে গিয়ে আমরা সিনেমা বানিয়ে ফেলেছি। সিনেমা জীবনের চেয়ে বড়, এটি বড় একটি ক্যানভাস। যেহেতু ওয়েব ফিল্ম সিনেমার মতো হয়ে গেছে, সেখানে সিনেমার মতো কিছু আছে বলেই সিনেমার মতো হয়ে গেছে। গল্পটা অসাধারণ এবং যারা যারা কাস্টিংয়ে ছিল, সব মিলিয়ে আমার কাছে মনে হয়েছে—সাইকো থ্রিলার মুভি যেটাকে বলা হয়, আগন্তুক তেমনি একটি সিনেমা।
সিনেমাটি দেখার আহ্বান জানিয়ে নায়িকা বলেন, আগন্তুক দেখলেই বোঝা যাবে যে, সিনেমাটি আমরা যেমন বানাতে চেয়েছি তেমন বানাতে পেরেছি কি না। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই সিনেমা যায় কি না, সেটা বুঝতে হলে দেখতে হবে।
ঈদুল আজহায় মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমাগুলোর মধ্যে রায়হান রাফী নির্মিত ‘তুফান’ ছবিটি দর্শক টানছে বেশি। নিজের ছবিকে তুফানের পরের অবস্থানের রেখে পূজা বলেন, আমি যতদূর শুনতে পাচ্ছি, রায়হান রাফীর তুফানের পর পরই আগন্তুকের অবস্থান। এটা আমাদের জন্য অনেক বড় পাওয়া। তবে কম্পিটিশন শব্দটা আমার কাছে নেতিবাচক লাগে। এমন চিন্তা-ভাবনা মাথায় না আনাই ভালো। সুস্থ স্বাভাবিক প্রতিযোগিতার চেষ্টা করা উচিত। তুফান ভালো যাচ্ছে। বাংলা সিনেমা ভালো গেলে এটা আমাদের সবার জন্যই খুব ভালো। তুফান ভালো যাচ্ছে, আগন্তুকও ভালো যাবে। আরও যত সিনেমা আছে ও আসবে সেগুলো ভালো যাবে, এতে সিনেমার প্রযোজকরা উৎসাহিত হন। এটা অভিনয়শিল্পীদের জন্য পজিটিভ। সেই জায়গা থেকে আমার মনে হয়, বাংলা সিনেমা ভালো যাওয়া উচিত।
নিজের সিনেমা নিয়ে বেশ আশাবাদী পূজা। বললেন, আমরা যে কাজ শুরু করি, সেটা কিন্তু একটা আশা নিয়ে শুরু করি। প্রতিটি আর্টিস্টই ভালো কাজ করতে চায়। প্রত্যেকেই খুব আশা নিয়েই কাজ করে। প্রতিটি সিনেমা নিয়েই আমরা আশাবাদী থাকি।
সোনালী বার্তা/এমএইচ