এখন নিজের ব্যাটিং নিয়ে চিন্তিত শান্ত

অধিনায়ক হিসেবে দলকে দারুণ নেতৃত্ব দিচ্ছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু ব্যাটার হিসেবে যাচ্ছে তাই। গ্রুপ পর্বের চার ম্যাচেই শান্তর ব্যাট ঘুমিয়ে, শত চেষ্টা করেও জাগানো যাচ্ছে না! গ্রুপ পর্বে শান্তর চার ইনিংসের স্কোর—৭, ১৪, ১ ও ৪। সব মিলিয়ে ২৬ রান। দুই দিন আগেই বাংলাদেশের অধিনায়ক নিজের ব্যাটিং নিয়ে দুশ্চিন্তার কথা বলেছিলেন। যদিও প্রধান কোচ হাথুরুসিংহে বলছেন ভিন্ন কথা!
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সুপার এইটে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। এই ম্যাচের আগে বাংলাদেশের টপ অর্ডারের ব্যাটিং নিয়ে ভাবনায় টিম ম্যানেজমেন্ট। কেননা শুধু শান্তই নয়, ফর্মে নেই লিটন-তানজিদ তামিমও। লিটন কোনওরকমে টুর্নামেন্টে ৫০ পেরিয়েছেন। তানজিদ তামিম ৪ ম্যাচে করেছেন ৪৬ রান। তবে সবচেয়ে বাজে অবস্থা শান্তর। অথচ অধিনায়ককেই সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার কথা।
হাথুরুসিংহের মতে, শুধু বাংলাদেশের নয়, এবারের বিশ্বকাপে শুরুর দিকের ব্যাটাররা ধুঁকছেন বেশির ভাগ সময়। হাথুরুর কথা একেবারেই অমূলক নয়। বিরাট কোহলি এবার ওপেনিংয়ে তিন ম্যাচ মিলে করেছেন ৫ রান। এছাড়া রোহিত শর্মা, এইডেন মারক্রামের মতো অধিনায়কেরা টপ অর্ডারে নেমেও ইনিংস বড় করতে পারছেন না।
ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিহে শিষ্যর খারাপ সময়টাতে পাশে থাকতে চাইলেন, ‘কেবল শান্ত নয়। বেশির ভাগ দলের টপ অর্ডারই এবার সংগ্রাম করছে। কারণ এখানের পিচ নতুন বলের জন্য কিছুটা কঠিন। বিষয়টা হলো, বেশির ভাগ দলই ম্যাচ খেলতে নামছে কত রান ভালো স্কোর হবে তা না জেনেই। তাতে শুরুর দিকে দুই-তিনজন ব্যাটারকে কন্ডিশন যাচাই করতে হয়।
হাথুরুসিংহে এমন কথা বললেও নিজের ব্যাটিং নিয়ে ম্যাচের পর অধিনায়ক শান্ত দুশ্চিন্তার কথা বলেছিলেন, ‘অবশ্যই চিন্তার কারণ (নিজের ব্যাটিং)। এভাবে ব্যাটিং করলে মনে হয় না দলের জন্য ভালো কোনও দিক। ভালো শুরু পাওয়া গুরুত্বপূর্ণ, আমরা ভালো শুরু পাচ্ছি না। ব্যাটাররা ওই রকমভাবে শেষও করতে পারছে না। অবশ্যই চিন্তার কারণ। এখান থেকে আমাদেরকেই বেরিয়ে আসতে হবে। কীভাবে বেরোতে হবে এটা নিয়ে অনেক পরিকল্পনা সব সময়ই হয়, কিন্তু এই ভুল বারবারই হচ্ছে। আশা করবো পরের রাউন্ডে এসব ভুল যতো কম করা যায়।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি ১০ দেখায় বাংলাদেশ জিতেছে ৪ ম্যাচ এবং অস্ট্রেলিয়া ৬ ম্যাচ। বাংলাদেশ ম্যাচটি প্রাণখুলে খেলুক এমনটাই আশা কোচের, ‘এই ম্যাচেও চাইবো ছেলেরা উপভোগ করুক মাঠে, তা যত বড় ম্যাচই হোক। তার মানে এই নয় যে তাদের মাঠে যা খুশি তা করার অধিকার রয়েছে। সবার নির্দিষ্ট দায়িত্ব আছে দলে। সেটা পালন করার ক্ষেত্রে অবশ্যই স্বাধীনতা আছে। এটা দেশ, ক্লাব সব জায়গার জন্য প্রযোজ্য।
সোনালী বার্তা/এমএইচ