কালকিনিতে পুলিশ সদস্যের স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, পরিবারের দাবি হত্যা
মাদারীপুরের কালকিনিতে নাদিয়া আক্তার (১৯) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত নাদিয়া শরীয়তপুরের ডামুড্যা থানার পুলিশ সদস্য জাহিদ হোসেনের স্ত্রী। পরিবারের দাবি যৌতুকের দাবিতে নাদিয়াকে হত্যা করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার সকালে নিজ ঘরের আড়ার সঙ্গে নাদিয়ার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা। পরে তাকে উদ্ধার করে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত নাদিয়া উপজেলার বাঁশগাড়ি এলাকার খাসেরহাটের কানুরগাও গ্রামের বাসিন্দা ও শরীয়তপুরের ডামুড্যা থানার পুলিশ সদস্য জাহিদ হোসেনের স্ত্রী।
নাদিয়ার স্বজনদের দাবি, যৌতুকের দাবিতে নাদিয়াকে গলাটিপে হত্যা করার পর ওড়না পেঁচিয়ে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখেছিল তার স্বামী ও তার পরিবার।
নিহত নাদিয়ার বাবা মো. জুলহাজ উদ্দিন জানান, ছুটিতে এসে নাদিয়াকে যৌতুকের দাবিতে মাঝে মধ্যেই মারধর করতো তার স্বামী জাহিদ। গত শুক্রবার রাতেও খালি বাড়িতে বসে নাদিয়াকে প্রচন্ড মারধর করে জাহিদ। জামাইর তার চাওয়া মোতাবেক অনেক টাকার আসবাবপত্র দিয়েছি। আমার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পর জাহিদ গা ঢাকা দিয়েছে। এ ঘটনায় মামলা করা হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত স্বামী জাহিদকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক মুক্তা জানান, নাদিয়ার মরদেহ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। হাসপাতালে আনার আগেই মারা গেছে।
কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার আব্দুল্লাহ আল-মামুন জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের পর বলা যাবে আসলে কিভাবে নাদিয়ার মৃত্যু হয়েছে। প্রতিবেদন হাতে পেলে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সোনালী বার্তা/এমএইচ