কে হবে ইরানে রাইসির উত্তরসূরি?
প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কেন্দ্র করে ইরানে জমে উঠেছে প্রচার প্রচারণা। শেষ সময়ের প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা মোকাবিলাসহ নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন প্রার্থীরা। আগামী শুক্রবার (২৮ জুন) দেশটির ১৪তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন।
গতকাল রোববার রাজধানী তেহরানে এক জনসভায় যোগ দেন একমাত্র সংস্কারপন্থি প্রার্থী মাসুদ পেজেশকিয়ান। পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা মোকাবিলা করে, নিষেধাজ্ঞার ফলে যারা সুফল ভোগ করছেন তাদের ধ্বংস করার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় দল মত নির্বিশেষে সবাইকে নিয়ে কাজ করার অঙ্গীকার করেন পেজেশকিয়ান।
সাবেক এই স্বাস্থমন্ত্রী বলেন,
আমাকে ভোট দিলে, আমি জনগণের পাশে থাকবো। আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি কখনো আপনাদের কাছে মিথ্যা বলব না।
অন্যান্য প্রার্থীরাও এদিন প্রচারণা চালিয়েছেন। বিজয়ী হলে দেশের অর্থনৈতিক সংস্কার, মুদ্রাস্ফীতি কমানো, সম্পদের সুষ্ঠু বণ্টন, পররাষ্ট্রনীতিকে গুরুত্ব দেয়ার কথা বলেন তারা।
২৬ জুন শেষ হচ্ছে নির্বাচনী প্রচারণা। এবারের নির্বাচনে প্রাথমিকভাবে ৮০ জন নিবন্ধিত হলেও শেষ পর্যন্ত ৬ জনের প্রার্থিতা অনুমোদন করে দেশটির গার্ডিয়ান কাউন্সিল।
অনুমোদনপ্রাপ্ত প্রার্থীরা হলেন: পার্লামেন্টের রক্ষণশীল স্পিকার মোহাম্মদ বাঘের গালিবাফ, অতি রক্ষণশীল সাবেক পারমাণবিক আলোচক সাইদ জলিলি, তেহরানের রক্ষণশীল মেয়র আলিরেজা জাকানি এবং বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট শহীদ ফাউন্ডেশনের অতি রক্ষণশীল প্রধান আমির হোসেন গাজিজাদেহ-হাশেমি।
এছাড়াও রক্ষণশীল সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোস্তফা পৌরমোহাম্মাদিকেও নির্বাচনে অংশ নেয়ার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। শুধুমাত্র একজন সংস্কারপন্থি প্রার্থী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য অনুমোদন পেয়েছেন। তিনি হলেন, ইরানের পার্লামেন্টে তাবরিজের প্রতিনিধিত্বকারী আইনপ্রণেতা মাসুদ পেজেশকিয়ান।
বিভিন্ন জরিপে মোহাম্মদ বাঘের কালিবাফ, মাসুদ পেজেশকিয়ান ও সাইয়েদ জলিলি এগিয়ে রয়েছেন বলে ইরানের গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
গেল মে মাসে দেশটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এক হেলিক্প্টার দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ায় নির্ধারিত সময়ের এক বছর আগেই ইরানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
সোনালী বার্তা/এমএইচ