বাংলাদেশকে হারিয়ে ইতিহাস গড়ে সেমিতে আফগানরা
একটি মাত্র ম্যাচের ওপর নির্ভর করছে ৩ দলের সেমির ভাগ্য। আফগানদের ১১৫ রানে আটকে শেষ চারে খেলার স্বপ্ন ভালো করে দেখিয়ে ছিলো বাংলাদেশের বোলাররা। সেমিফাইনালে খেলতে হলে আফগানিস্তানের দেওয়া ১১৬ রানের টার্গেট, পূরণ করতে হত ১২ ওভার ১ বলে।
কিন্তু এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে ভালো ভাবে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটারা।যেমন কর্ম তেমন ফল সুপার এইট থেকে বিদায় নিশ্চিত টাইগারদের।
১২.১ ওভারে ১১৬ করলে সেমিতে খেলবেন শান্তরা
আর বাংলাদেশকে বৃষ্টি আইনে ৮ রানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো সেমিটাইনালে উঠেছে আফগানিস্তান। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ১১৫ রান করে আফগানরা। জবাবে ১০৫ রানে অল আউট হয় বাংলাদেশ।
১১৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করেছিলেন লিটন দাস। প্রথম ওভারে তোলেন ১৩ রান।কিন্তু দ্বিতীয় ওভারে বদলে যায় বাংলাদেশের চিত্রপট। ফজলহক ফারুকির শিকার হয়ে এবারও ডাক মারেন তানজিদ হাসান তামিম। এ নিয়ে তিন ম্যাচে শূন্য রানে আউট হলেন তিনি। এটি সর্বশেষ ৪ ইনিংসে তার তৃতীয় ডাক।
বিশ্বকাপের এক আসরে সর্বোচ্চ ডাকের রেকর্ড স্পর্শ করেছেন বাঁহাতি এই ওপেনার। এর আগে এই রেকর্ড ছিল উগান্ডার রজার মুকাসার। চলতি বিশ্বকাপে তিনি তিনবার শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন।
পরের ওভারে জোড়া আঘাত হানেন নাভিন। মিড উইকেট ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। পরের বলে ফিরতি ক্যাচে সাকিব আর হাসানকে আউট করেন নাভিন।
বৃষ্টিতে কিছুক্ষণ খেলে বন্ধ থাকার পর খেলা শুরু হলে ঠিকই খেলায় ফেরেন আফগান খেলোররা কিন্তু একের পর এক উইকেট উপহার দিয়ে আসেন টাইগাররা। সপ্তম ওভারে বোলিংয়ে এসে সৌম্য সরকারকে বোল্ড করেন (১০) রশিদ খান।
৯ বলে ১৪ রান করা তাওহীদ হৃদয়কে থামান আফগান অধিনায়ক। রশিদের তৃতীয় শিকার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ৯ বলে ৬ রান করে থামেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। প্রথম বলেই বোল্ড রিশাদ হোসেন।
আসরের শেষ ম্যাচে এসে অর্ধশতকের দেখা পেলেন লিটন। শেষ পর্যন্ত ৫৪ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি।
এর আগে চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ওপেনিং জুটিতে সবচেয়ে বেশি রান ইব্রাহিম জার্দান ও রহমানউল্লাহ গুরবাজের। তবে এ ম্যাচে পাওয়ার প্লেতে তাদের বেঁধে রাখেন টাইগার বোলাররা।
তানজিম হাসান সাকিব, তাসকিন আহমেদের গতিময় বোলিংয়ে দিশেহারা দুই আফগান ওপেনার। রানের জন্য ছটফট করছিলেন দুজন। পঞ্চম ওভারে বোলিংয়ে আসেন সাকিব আল হাসান।
তার বলে কাভারে ক্যাচ তুলেছিলেন ইব্রাহিম। কিন্তু সেই ক্যাচ লুখে নিতে পারেননি হৃদয়। পাওয়ার প্লেতে আফগানদের সংগ্রহ ছিলো বিনা উইকেট মাত্র ২৭ রান।
এই ধারা অব্যাহত থাকে বাকি ওভার গুলোতেও। ২০ ওভারে সর্বমোট ৬৬টি ডট বল করেছেন তাসকিন-সাকিবরা। অর্থাৎ ১১ ওভারে কোনো রান তুলতে পারেনি আফগান ব্যাটাররা।
১১তম ওভারে প্রথম উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। ইব্রাহিমকে (১৮) ফিরিয়ে ৫৯ রানের ওপেনিং জুটি ভাঙেন রিশাদ হোসেন। ১৭তম ওভারে আজমতউল্লাহ ওমরজাই (১০) এবং গুরবাজকে (৪৩) সাজঘরে ফেরান এই লেগ স্পিনার। ২৬ রানে তার শিকার ৩ উইকেট।
সোনালী বার্তা/এমএইচ