চিলিকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনা

ম্যাচের শুরু থেকেই চিলির জালে প্রভাব বিস্তার করে খেলে যাচ্ছিলো আর্জেন্টিনা। প্রথমার্ধ তো বলতে গেলে এককভাবেই খেলেছে মেসিরা। তাদের আক্রমণ ঠেকানোই যেন কাজ ছিল চিলির। এই অর্ধে চিলির জালে ১৩ বার শট নিয়েছিলো লিওনেল মেসি অ্যান্ড কোং। এর মধ্যে ৩টি শট ছিল গোলপোস্ট লক্ষ্যে। পুরো খেলায় আর্জেন্টিনা মোট ২২টি শট নিয়েছে চিলির পোস্টে। এর মধ্যে ৯টি ছিল জালে। যার ৮টিই অসাধারণ দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন ক্লদিও ব্রাভো।
একদিন আগেই ৩৭তম জন্মদিন পালন করেন মেসি। সতীর্থরাও তাই মরিয়া হয়েছিলো মেসিকে গোল উপহার দিতে। ম্যাচের শুরু থেকেই মেসিই ছিলেন আর্জেন্টিনার আক্রমণের কেন্দ্রবিন্দু। ৩৬ মিনিটে দারুণ একটি শট নিয়েছিলেন তিনি। এনজো ফার্নান্দেজের পাস থেকে পেয়ে মেসির নেয়া বাঁ-পায়ের শট বক্সের বাইরে চলে যায়। ২ মিনিট পরই অবশ্য ডান উরুতে হালকা চোট পান তিনি। মাঠের বাইরে গিয়ে হালকা চিকিৎসা নিতে হয় মেসিকে।
পুরো ম্যাচ একচেটিয়া খেলেও গোলের দেখা পাচ্ছিলো না আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসিদের সামনে যেন চীনের প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন কোপার ইতিহাসে সবচেয়ে বয়স্ক, চিলির গোলরক্ষক ক্লদিও ব্রাভো। চিলিও ৩বার গোলের দারুণ সুযোগ পেয়েছিলো। ৩টিই নিশ্চিত গোল হওয়ার মতো। সেখান থেকে আর্জেন্টিনাকে বাঁচান গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ।
তবে, লিওনেল মেসিদের আক্রমণের সয়লাব শেষ পর্যন্ত রুখতে পারেননি ক্লদিও ব্রাভো। ৮৮তম মিনিটে মেসির নেয়া কর্নার কিক থেকে ভেসে আসা বল ক্লিয়ার হলেও জটলার ভেতরে ফিরতি বল বাঁ-দিকে ফাঁকায় দাাঁড়ানো পেয়ে যান লওতারো মার্টিনেজ। ডান পায়ের দারুণ এক শটে চিলির জালে জড়িয়ে দেন পরিবর্তিত হিসেবে মাঠে নামা এই ফুটবলার। ৮৮তম মিনিটে শুধু একটি শট ঠেকাতে পারেননি। যার ফলে পরাজয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাদেরকে।
এই এক গোলের সুবাধেই চিলিকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়ে কোপা আমেরিকার `এ‘ গ্রুপ থেকে সবার আগে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলেছে আর্জেন্টিনা।
সোনালী বার্তা/এমএইচ