মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:২৪ পূর্বাহ্ন

চুক্তি কারসাজির গচ্চা দিচ্ছে বিমান

নিজস্ব প্রতিবেদক / ৬২ Time View
Update : বুধবার, ২৬ জুন, ২০২৪

অনলাইনে টিকিট কেনাবেচাসহ বিভিন্ন সেবা ক্রয়ের চুক্তিতে কারসাজির কারণে হাজার কোটি টাকা ক্ষতির মুখে পড়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। প্রতিষ্ঠানটির কয়েকজন কর্মকর্তার যোগসাজশে এই জালিয়াতির মাধ্যমে ১০ বছরে অতিরিক্ত ১ হাজার ৭৬ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ফন্দি করেছিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সেবার গ্লোবাল ইনকরপোরেশন। সরকারের বাণিজ্যিক অডিট অধিদপ্তরের নিরীক্ষায় গুরুতর এ অনিয়ম ধরা পড়েছে। এর ভিত্তিতে ঘটনা তদন্তে চার সদস্যের অনুসন্ধান টিম গঠন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। চুক্তির বিস্তারিতসহ সংশ্লিষ্ট নথিপত্র তলব করে এরই মধ্যে বিমানের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

চুক্তিটি সম্পন্ন করার আগে বিমানের পরিচালনা পর্ষদকে জানানো হয়েছিল, ১০ বছরে ওই প্রতিষ্ঠানকে মোট ২৮২ কোটি (তখনকার ডলারের দর অনুযায়ী) টাকা দিতে হবে। তার ভিত্তিতেই পরিচালনা পর্ষদ চুক্তিটি অনুমোদন করে। কিন্তু মূল চুক্তিটি এমনভাবে করা হয়েছে, যাতে প্রতিষ্ঠানটির কাছ থেকে বিভিন্ন ই-সেবা ক্রয়ে বিমানকে ১০ বছরে মোট ১ হাজার ৩৫৮ কোটি টাকা দিতে হবে। বিমানের কয়েকজন কর্মকর্তার যোগসাজশে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এই এয়ারলাইন্সকে অতিরিক্ত ১ হাজার ৭৬ কোটি টাকা গচ্চা দিতে হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সেবার গ্লোবালের কাছ থেকে সেবা ক্রয় সংক্রান্ত আর্থিক প্রস্তাব, বিমানের পরিচালনা পর্ষদের সভার কার্যবিবরণী ও চুক্তি সংক্রান্ত বিভিন্ন নথি ঘেঁটে দেখা গেছে, চুক্তির আগে আর্থিক প্রস্তাবে কিছু সেবার বিপরীতে খরচ যা হবে, তার চেয়ে কম দেখানো হয়েছে। কিছু সেবার ব্যয় সংক্রান্ত তথ্য একেবারে গোপন করা হয়েছে। পরিচালনা পর্ষদের কাছে তথ্য গোপন করে এবং পদ্ধতিগতভাবে অন্ধকারে রেখে প্রস্তাবটি অনুমোদন করানোর পর মূল চুক্তিতে এসব ব্যয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

জানা গেছে, চুক্তি জালিয়াতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনা নিয়ে এরই মধ্যে তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে একটি অনুসন্ধান কমিটি। এ সংক্রান্ত কাগজপত্র তলব করে গত ২৭ মে অনুসন্ধান কমিটির পক্ষ থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এতে সেবার গ্লোবাল ইনকরপোরেশনকে ঠিকাদার নিয়োগের ক্ষেত্রে ডিপিপি, অনুমোদিত প্রাক্কলন, অর্থ বরাদ্দ, পত্রিকায় দরপত্র বিজ্ঞপ্তি, বাজারদর যাচাইকারী কমিটির প্রতিবেদন, টেন্ডার ওপেনিং কমিটি, টেন্ডার বাছাই কমিটির তালিকা, আর্থিক ও কারিগরি কমিটির সুপারিশ ও দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির প্রতিবেদন, নোটিফিকেশন অব অ্যাওয়ার্ড, কার্যাদেশ, চুক্তির আগে ও পরে আর্থিক প্রস্তাবের কপি এবং চুক্তিমূল্যসহ যাবতীয় রেকর্ডপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি পাঠাতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে বিমানের পরিচালনা পর্ষদের ২৫৭তম সভার কার্যবিবরণীর সত্যায়িত কপি এবং বাণিজ্যিক অডিট অধিদপ্তরের নিরীক্ষা প্রতিবেদনের সত্যায়িত কপিও চাওয়া হয়েছে।

দুদক ও বিমান সূত্রে জানা গেছে, সফটওয়্যার ও প্রযুক্তি সেবাদানকারী আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান সেবার গ্লোবাল ইনকরপোরেশনের সঙ্গে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে একটি চুক্তি করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। চুক্তি অনুযায়ী ওই প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে টিকিট বিক্রিতে ব্যবহৃত প্যাসেঞ্জার সার্ভিস সিস্টেম (পিএসএস), টিকিট বুকিং ও বিক্রির জন্য এজেন্টদের ব্যবহৃত প্রযুক্তি গ্লোবাল ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম (জিডিএস), বিমানবন্দরে চেক-ইন, বোর্ডিং কার্ডসহ অন্যান্য সেবা ব্যবস্থাপনার ডিপারচার কন্ট্রোল সিস্টেম (ডিসিএস), ই-কমার্স ও লয়্যালটি সংক্রান্ত সেবা গ্রহণ করছে বিমান।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে এত বড় জালিয়াতি করা হলেও বিমানের কোনো পর্যায়েই তা ধরা পড়েনি। সরকারের বাণিজ্যিক অডিট অধিদপ্তরের নিরীক্ষায় এ অনিয়ম চিহ্নিত হয়। এ বিষয়ে বিমানের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হলেও তারা কোনো জবাব দেয়নি। এ কারণে নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটির মাধ্যমে ক্রয় আইন ও বিধি লঙ্ঘন করে জালিয়াতিপূর্ণ চুক্তি সম্পাদনের বিষয়ে দায়দায়িত্ব নির্ধারণের সুপারিশ করা হয়। পাশাপাশি বিমানের স্বার্থপরিপন্থি ওই চুক্তি বাতিলেরও সুপারিশ করে বাণিজ্যিক অডিট অধিদপ্তর।

তবে বিমানের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেন, হঠাৎ করে চুক্তিটি বাতিল করা সম্ভব নয়। কারণ এ ধরনের ই-সেবার জন্য নেটওয়ার্ক স্থাপন দীর্ঘ সময়সাপেক্ষ। হঠাৎ করে এই সেবা বন্ধ করা হলে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।

সূত্র বলছে, কারসাজির ওই চুক্তিতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স হাজার কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়লেও লাভবান হয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা। ওই চুক্তিপত্রে বিমানের পক্ষে স্বাক্ষর করেন তৎকালীন পরিচালক (প্রশাসন) মো. ছিদ্দিকুর রহমান এবং কোম্পানি সচিব রাশেদ মেহের চৌধুরী। প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা ছিদ্দিকুর রহমান তখন প্রেষণে বিমানে দায়িত্ব পালন করছিলেন। বর্তমানে তিনি পরিবেশ অধিদপ্তরে অতিরিক্ত মহাপরিচালক।

অন্যদিকে বিমানের লিগ্যাল অ্যাফেয়ার্স বিভাগের উপ মহাব্যবস্থাপক রাশেদ মেহের চৌধুরী প্রতিষ্ঠানটির কোম্পানি সচিব হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্বে ছিলেন। চলতি মাসেই তাকে সে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বিমানের একাধিক কর্মকর্তা জানান, যে কোনো ক্রয় প্রস্তাব বা চুক্তির প্রাথমিক কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে আসার পর লিগ্যাল অ্যাফেয়ার্স বিভাগে পাঠানো হয়। কোম্পানির লাভ-ক্ষতির আইনগত বিষয়গুলো দেখার দায়িত্ব ওই বিভাগের। লিগ্যাল অ্যাফেয়ার্স তখন ভেটো দিলে বা চুক্তির ত্রুটিগুলো ধরিয়ে দিলে ক্রয় প্রস্তাবটি হয়তো পরিচালনা পর্ষদের বোর্ড সভায় অনুমোদন হতো না। ওই বিভাগের প্রধান হিসেবে বিষয়গুলো দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন উপমহাব্যবস্থাপক (লিগ্যাল অ্যাফেয়ার্স) রাশেদ মেহের চৌধুরী। তিনিই আবার কোম্পানি সচিবের দায়িত্বে ছিলেন। লিগ্যাল অ্যাফেয়ার্স থেকে অনাপত্তি পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট বিভাগ প্রস্তাবটি বোর্ড সভায় তুলেছে। এর বাইরে দরপত্রের পুরো প্রক্রিয়ায় বিমানের একাধিক কমিটি কাজ করেছে। এর মধ্যে আর্থিক ও কারিগরি কমিটির প্রধান ছিলেন ওই সময়ের পরিচালক (প্রশাসন) ছিদ্দিকুর রহমান। আইনি ও আর্থিক স্বার্থ নিরূপণের দায়িত্বে থাকা ওই দুই কর্মকর্তাই আবার বিমানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন। ফলে এই চুক্তির কোনো অংশই তাদের অগোচরে থাকার কথা নয়।

এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে গত সোমবার মো. ছিদ্দিকুর রহমান কালবেলাকে বলেন, ‘অনেক আগের ঘটনা হওয়ায়, না দেখে বিস্তারিত বলা যাবে না। তবে যা করা হয়েছে, পিপিআর অনুযায়ী করা হয়েছে। বিমানের সর্বোচ্চ স্বার্থ রক্ষা করেই ওই চুক্তি করা হয়েছিল।’

সরকারের অডিট বিভাগের নিরীক্ষায় বিভিন্ন অনিয়ম চিহ্নিত হওয়া এবং দুদকের অনুসন্ধান সম্পর্কে অবহিত করা হলে বিমানের এই সাবেক পরিচালক বলেন, ‘এটি হাইলি টেকনিক্যাল বিষয় ছিল। তবে অডিট টিমের সামনে বিমানের সেই টেকনিক্যাল কর্মকর্তারা ছিলেন না। এজন্য ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে বিমান এরই মধ্যে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে জবাব দিয়েছে। আশা করি, ঘটনাটি নিষ্পত্তি হয়ে যাবে।’

বিমানের লিগ্যাল অ্যাফেয়ার্স বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক ও সাবেক কোম্পানি সচিব রাশেদ মেহের চৌধুরীর বক্তব্য জানার জন্য তাকে ফোন করা হয়। বিস্তারিত শোনার পর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সামনে ওই মুহূর্তে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করে পরে ফোন দিতে বলেন। এরপর বারবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। পরে এসএমএসের মাধ্যমে প্রশ্ন পাঠানো হলেও তিনি জবাব দেননি।

যেভাবে হাজার কোটি টাকার ‘কারসাজি’:

বিমান সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পিএসএস ও এর সঙ্গে যুক্ত অন্য সেবাগুলোর খরচ নির্ভর করে মূলত যাত্রীসংখ্যার ওপর। যাত্রী বাড়লে টাকাও বেশি দিতে হয়। কিন্তু সেবা ক্রয়ের দরপত্রে বিমানের প্রকৃত যাত্রীসংখ্যা এবং প্রতি বছর তা কী হারে বাড়বে সে তথ্য গোপন করা হয়েছিল। এতে দরপত্রে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের মতো করে যাত্রীসংখ্যা উল্লেখ করে দর দিয়েছে। কিন্তু খরচের হিসাব দেওয়ার সময় সম্ভাব্য সর্বনিম্ন যাত্রীর সংখ্যা ধরে আর্থিক হিসাব উল্লেখ করা হয়। ভবিষ্যতে বিমানের রুট বাড়বে এবং এতে প্রতি বছরই যে যাত্রী বাড়বে, সেটি বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। এ কারণে আর্থিক ব্যয় প্রকৃত ব্যয়ের চেয়ে কম দেখাতে পেরেছেন বিমানের সুবিধাভোগী কর্মকর্তারা। কিন্তু চুক্তি করার সময় ‘সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে যাত্রীসংখ্যা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান টাকা পাবে’ বলে উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া তিন বছর পর থেকে প্রতিটি সেবার খরচ ২ শতাংশ হারে বাড়বে বলেও উল্লেখ করা হয়।

দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বলছেন, ক্রয় করা সেবার মধ্যে টিকিট বিক্রয় প্রতিনিধি বা ট্রাভেল এজেন্টরা ‘জিডিএস সার্ভিস’ ব্যবহার করে থাকে। চুক্তি অনুযায়ী বিমানের কোনো এজেন্ট জিডিএস ব্যবহার করে দেশের অভ্যন্তরে টিকিট বুকিং করলে টিকিটপ্রতি ২ ডলার এবং এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভ্রমণের জন্য টিকিটপ্রতি সাড়ে ৬ ডলার করে পাবে ‘সেবার গ্লোবাল ইনকরপোরেশন’ নামের প্রতিষ্ঠানটি।

তবে সরকারি অডিট অধিদপ্তর ২০২২-২৩ অর্থবছরে সেবার গ্লোবাল ইনকরপোরেশনের জিডিএস ব্যবহার করে টিকিট বুকিংয়ের সংখ্যাকে ভিত্তি ধরে দেখেছে ১০ বছরে এই খাতেই প্রতিষ্ঠানটিকে দিতে হবে অন্তত ১ হাজার ১৯ কোটি টাকা। কিন্তু বিমানের পরিচালনা পর্ষদের কাছে এই খরচের বিষয়টি গোপন করে চুক্তির অনুমোদন নেওয়া হয়েছে।

ওই চুক্তি সংক্রান্ত কাগজপত্র যাচাই করে দেখা গেছে, পিএসএস ও জিডিএস সেবা বাস্তবায়নের জন্য পরামর্শক ফির বিষয়টি আর্থিক প্রস্তাবে ছিল না। তবে মূল চুক্তিতে তা যুক্ত করা হয়। এ কারণে বাড়তি কয়েক কোটি টাকা পরামর্শক ফিও দিতে হচ্ছে বিমানকে।

অভিযোগ রয়েছে, নতুন দরপত্রে অভিজ্ঞতার বিষয়ে এমন কিছু শর্ত যুক্ত করা হয়, যার কারণে কেবল তিনটি প্রতিষ্ঠান সংক্ষিপ্ত তালিকায় আসে। তাদের মধ্য থেকে সেবার গ্লোবাল ইনকরপোরেশনকে নির্বাচিত করা হয়। অবশ্য পাবলিক প্রক্রিউরমেন্ট বিধিমালা অনুযায়ী, সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত আবেদনকারীর সংখ্যা

৪-এর কম হলে ফের দরপত্র আহ্বান করতে হয়। কিন্তু বিমানের একটি পক্ষ কাজটি নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে পাইয়ে দিতে তা করেনি।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একাধিক কর্মকর্তা বলছেন, সেবার গ্লোবাল ইনকরপোরেশনের প্রদত্ত সেবা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। বরং এই প্রতিষ্ঠানটি আমেরিকান এয়ারলাইন্স, জেট ব্লু, ইত্তেহাদ, গালফ এয়ারসহ বিশ্বের অন্তত ৯০টি এয়ারলাইন্স প্রতিষ্ঠানটির সিস্টেম ব্যবহার করে আসছে। কিন্তু বিমানের ভেতর থেকেই কয়েক কর্মকর্তা সুবিধা নিয়ে তথ্য গোপন করে বিমানের আর্থিক ক্ষতি করেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২২ সাল থেকে সেবার গ্লোবাল ইনকরপোরেশন আনুষ্ঠানিকভাবে বিমানকে চুক্তি অনুযায়ী সার্ভিস দিয়ে আসছে। আন্তর্জাতিক ওই প্রতিষ্ঠানটির হয়ে ‘সেবার বাংলাদেশ নামে’ সহযোগী কোম্পানি বিমানকে সাপোর্ট দিচ্ছে।
প্রতিষ্ঠানটির কান্ট্রি জেনারেল ম্যানেজার ও সিইও মোহাম্মদ সাইফুল হক বলেন, চুক্তি অনুযায়ী বিমানকে সব ধরনের সেবা দেওয়া হচ্ছে।

 

সোনালী বার্তা/এমএইচ


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর