শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:৫৬ পূর্বাহ্ন

এবার দম্ভ চূর্ণ হলো সাদিক অ্যাগ্রোর

নিজস্ব প্রতিবেদক / ১৪৫ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন, ২০২৪

ছোটখাট চুরি কিংবা ছিনতাই নয়, রীতিমতো ডাকাতি! সাদিক অ্যাগ্রো নদী দখল করে গড়ে তুলছে নিজের সাম্রাজ্য। সিটি করপোরেশনের বার বার নোটিশের পরও অনড় প্রতিষ্ঠানটি।

এমন অবস্থায় আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রামচন্দ্রপুর খালের অন্যসব দখলদারের সঙ্গে সরে যেতে শুরু করে সাদিক অ্যাগ্রো। সরিয়ে নেয়া হয় খামারের অধিকাংশ গরু-ছাগল। তবে সকাল থেকেই অজানা কারণে অনুপস্থিত প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার শাহ ইমরান হোসেন। পাঠান তার এক প্রতিনিধিকে। তাদের দাবি, খালের জায়গায় নেই তাদের কোনো স্থাপনা।

এবার দম্ভ চূর্ণ হলো সাদিক অ্যাগ্রোর। মোহাম্মদপুরের রামচন্দ্রপুর খাল দখল করে ব্যবসা করার সত্যতা মেলায় ভেঙে ফেলা হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির একাংশ। এছাড়া উচ্ছেদ করা হয়েছে অন্য দখলদারদেরও। সিটি করপোরেশন জানায়, খালে পানি প্রবাহ ফেরাতে কোনও অবৈধ দখলদারকেই ছাড় দেয়া হবে না।

এদিকে স্থানীয় কাউন্সিলরের ছত্রছায়ায় খাল দখল হওয়ার অভিযোগ থাকলেও তিনি কথা বললেন ভিন্ন সুরে। জানান, সাদিক অ্যাগ্রো কিংবা অবৈধ দখলদারদের সঙ্গে তার কোনও সম্পর্ক নেই।

এবারের কোরবানির ঈদের সময় মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ এলাকার চাঁদ উদ্যানের পাশে রাস্তা দখল করে খামারের নামে হাট বসিয়েছিল সাদেক অ্যাগ্রোসহ বেশ কয়েকটি ফার্ম। আর বর্জ্য ফেলেছে খালের পানিতে। পুরানো ছবি/ভিডিও থেকে নেয়া

তবে সিটি করপোরেশন এসেও পড়েছে দ্বিধাদ্বন্দ্বে। ঢাকঢোল পিটিয়ে অভিযানে এলেও, শুরুতে খুঁজেই পাচ্ছিলো না সাদিক অ্যাগ্রোর সংশ্লিষ্টতা। নির্ধারিত সময়ের প্রায় দুঘণ্টা পর বেলা ১২টায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোতাকাব্বির আহমেদ ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুব হাসানের হস্তক্ষেপে ভোল পালটে যায়। ভূমি জরিপের পর সামনে আসে আসল চিত্র। রামচন্দ্রপুর খালের অনেকটা জায়গা দখল করেই চলছে তাদের ব্যবসা।

এরপরই উচ্ছেদে নামে ডিএনসিসি। এক্সেভেটর ও বুলডোজারসহ বিশেষ যান দিয়ে অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। ভেঙে ফেলা হয় সাদিক অ্যাগ্রোর একাংশ। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুব হাসান জানান, খালে পানি প্রবাহ ফেরাতে কোনো অবৈধ দখলদারকেই ছাড় দেয়া হবে না।

এদিকে, সকালে সিটি করপোরেশনের উচ্ছেদের খবর পাওয়ার পর খাল দখল করে থাকা অন্য বাসিন্দারা নিজেরাই সরে যেতে শুরু করেন। তাদের অভিযোগ, সরে যাওয়ার জন্য খুব কম সময় পেয়েছেন তারা।
দখলমুক্ত করার পর মাটি সরিয়ে খালে পানি প্রবাহ ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছে ডিএনসিসি।

সোনালী বার্তা/এমএইচ


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর