ফাইনাল ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে গেলে কারা হবে চ্যাম্পিয়ন?
প্রায় এক মাসব্যাপী জমজমাট টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ টুর্নামেন্টের ফাইনাল আজ। বার্বাডোজের কেনসিংটন ওভালে মুখোমুখি হবে দুই অপরাজিত দল ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা।
আজ কেনসিংটনে বৃষ্টির সম্ভাবনা প্রবল। সকাল থেকেই বার্বাডোজের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। সেই সঙ্গে বয়ে যাচ্ছে হালকা বাতাস। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বিকেলের দিকে বৃষ্টি নামতে পারে। তবে ম্যাচটি ভালোভাবে পরিচালনা করা এবং চ্যাম্পিয়ন দল নির্বাচনের নানা পদক্ষেপ নিয়েছে আইসিসি।
ফাইনাল ম্যাচের জন্য ‘রিজার্ভ ডে’ রেখেছে আইসিসি। বৃষ্টির কারণে ম্যাচ বাধাগ্রস্থ হলে ওভার কমিয়ে আনা হবে। নির্ধারিত দিনেই যেন খেলা শেষ করা যায়, তার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে আইসিসির। আর যদি কোনোভাবেই ম্যাচের ফলাফল বের করে আনা সম্ভব না হয়, সেক্ষেত্রে খেলা গড়াবে রিজার্ভ ডে-তে। সে হিসেবে ম্যাচের বাকি অংশের খেলা হবে আগামীকাল রোববার।
এদিকে আবহাওয়াবিদরা বলছেন, আগামীকালও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এমনকি আজকের চেয়ে বৃষ্টির ক্ষ্রিপতা সেদিন আরও বাড়তে পারে। যদি সেটিই হয়, তাহলে নিশ্চয়ই ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে একটি প্রশ্ন জেগেছে যে, রিজার্ভ ডে-তেও ম্যাচ পরিচালনা করা এবং শেষ করা না গেলে কারা হবে চ্যাম্পিয়ন?
ভক্ত-সমর্থকদের সেই প্রশ্নের উত্তর আগেই জানিয়ে দিয়েছে আইসিসি। ক্রিকেট নিয়্ন্ত্রক সংস্থাটি জানিয়ে দিয়েছে, রিজার্ভ ডে-তেও যদি ম্যাচ শেষ করা এবং ফলাফল বের করে আনা না যায়, তাহলে দুই দলকে যৌথ চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হবে।
এবারের আসরে খেলা মোট ৭ ম্যাচের সবগুলোতেই জয় পেয়েছে ভারত। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ বৃষ্টির কারণে কোনো বল মাঠে গড়ানোর আগে পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছিলেন আম্পায়াররা। অপরদিকে এই পর্যন্ত ৮ ম্যাচের ৮টিতেই জয় পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৯৯২ সাল থেকে বিশ্বকাপের আসরে খেললেও এবারই প্রথম ফাইনালে উঠতে পেরেছে প্রোটিয়ারা।
এদিকে দুই দলই শিরোপা জয়ের জন্য মুখিয়ে আছে। প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠে রোমাঞ্চিত দক্ষিণ আফ্রিকা কোনোভাবেই এই সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইবে না। অপরদিকে দীর্ঘদিনের শিরোপাক্ষরা কাটাতে প্রস্তুত ভারত।
এর আগে বেশ কয়েকবার সেমিফাইনালে খেলেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে ভাগ্যের নির্মমতায় বারবারই হারতে হয়েছে তারকা ঠাসা প্রোটিয়াদের।
বিশ্বকাপের আসরে দুর্দান্ত পারফর্ম করেও বারবার ব্যর্থ হওয়ার কারণে ‘চোকার্স’ তকমা পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এবার কটূ করা সেই তকমা মোছার সুযোগ তাদের সামনে। একইসঙ্গে বিশ্বকাপে বৈচিত্র্য আসার দারুণ সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে এবার। নতুন কোনো চ্যাম্পিয়ন পেতে পারে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।
অপরদিকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরে পাকিস্তানকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল ভারত। এরপর ৭টি আসর চলে গেলে শিরোপা জেতা হয়নি তাদের। ২০১৪ সালের আসরে ফাইনালে গেলেও শ্রীলঙ্কার কাছে ৬ উইকেটে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল রোহিত শর্মাদের।
এছাড়া এক যুগেরও বেশি সময় ধরে আইসিসির কোনো শিরোপা জিততে পারেনি ভারত। সর্বশেষ ২০১১ সালে মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় শিরোপা জিতেছিল ভারতীয়রা।
সোনালী বার্তা/এমএইচ