তিস্তার পানিপ্রবাহ বিপৎসীমার কাছাকাছি ২ হাজার পরিবার পানিবন্দি
উজানের ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতে নিম্নাঞ্চল ও তিস্তা চরাঞ্চলের দুই হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে জেলার ৫ উপজেলার নদী তীরবর্তী পানি নিয়ন্ত্রণে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে রেখেছেন কর্তৃপক্ষ।
আজ রোববার সকাল ৮টা থেকে দোয়ানি তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানিপ্রবাহ বিপৎসীমার কাছাকাছি দেখা গেছে।
এর আগে গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় তিস্তার পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি মাত্র ১৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। রাতেই পানি আরও বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করে। সকাল ৬টা থেকে দোয়ানি তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানিপ্রবাহ বিপৎসীমার ৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়, যা স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার। পরে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সকাল ৮টায় ৪ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার নিচে নেমে আসে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিস্তার পানি বেড়ে যাওয়ায় লালমনিরহাটের ৫ উপজেলা পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, দোয়ানী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না, চর সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, কালমাটি, রাজপুর, গোকুণ্ডা ইউনিয়নের তিস্তা নদীতীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের অন্তত দুই হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
আদিতমারী উপজেলা মহিষখোঁচা ইউনিয়নের গোবর্ধন চর এলাকার আলী হোসেন বলেন, শনিবার বিকেল থেকে আবারও তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। সন্ধ্যার মধ্যেই তিস্তা নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করে। আর রাতেই সেই পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল প্লাবিত হয়।
সদর উপজেলা খুনিয়াগাছ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খায়রুজ্জামান বাদল বলেন, তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করায় নদীতীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা বলেন, শনিবার বিকেল থেকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। সন্ধ্যা ৬টায় তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। রাতের মধ্যে পানিপ্রবাহ আরও বেড়ে রোববার সকাল ৬টা থেকে একই পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। পরে সকাল ৮টায় পানিপ্রবাহ ৪ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই অবস্থায় প্রবাহিত হচ্ছে।
সোনালী বার্তা/এমএইচ