এবার ইরাক ইসরায়েল উপর হামলা চালালো
এর আগেও বহুবার ইসরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইসলামিক রেজিসটেন্স সংগঠনটি। জুনের শুরুর দিকে এসব হামলা চালানো হয়। সে সময় সংগঠনটি জানায় যে, তারা দখলদার ইসরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করবে এবং ধ্বংস করে দেবে।
তারই জের ধরে ইরাক থেকে ইসরায়েলি টার্গেটে হামলা চালিয়েছে। দ্য ইসলামিক রেজিসটেন্স নামের একটি সংগঠন দাবি করেছে যে, তারা ইসরায়েলের বন্দর নগরী ইলাতে ‘গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুতে’ ড্রোন হামলা চালিয়েছে। ইলা নামের ওই শহরটি লোহিত সাগরের তীরে অবস্থিত। খবর আল জাজিরার।
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলাকে কেন্দ্র করেই এসব হামলা চালানো হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।
এর আগে লেবাননভিত্তিক হিজবুল্লাহ সংগঠন গত রোববার জানায়, তারা ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের একটি সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে। হিজবুল্লাহর এক কমান্ডারকে হত্যার প্রতিশোধ হিসেবেই সশস্ত্র ড্রোন দিয়ে ওই হামলা চালানো হয়।
গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই ইরান সমর্থিত বিভিন্ন সংগঠন এবং হামাসের মিত্র হিজবুল্লাহর সদস্যদের সঙ্গে প্রতিদিনই ইসরায়েলি সেনাদের সংঘাতের খবর পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া ইয়েমেন, লেবানন এবং ইরান থেকেও বিভিন্ন সংগঠন ইসরায়েলের বিভিন্ন লক্ষ্যে হামলা চালাচ্ছে। আবার ইসরায়েলের দিক থেকে পাল্টা আক্রমণও চালানো হচ্ছে।
সম্প্রতি ইসরায়েলি বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর বিভিন্ন স্থাপনার ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে হিজবুল্লাহ সংগঠন। ইসরায়েল সরকার যখন হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধের হুমকি দিচ্ছে ঠিক তখনি হিজবুল্লাহর সামরিক গণমাধ্যম বিভাগ এই ফুটেজ প্রকাশ করেছে।
এসব ফুটেজে যেসব গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাকে চিহ্নিত করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে নেগেভ মরুভূমিতে অবস্থিত ইসরায়েলের দিমোনা পরমাণু চুল্লি, তেল আবিবের বেন গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং নেভাতিম বিমানঘাঁটি।
এর বাইরে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রয়েছে যার মধ্যে রয়েছে হাকিরিয়া কমপ্লেক্স। সেখানে রয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর জেনারেল স্টাফ এবং অনেক শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের আবাসস্থল। এছাড়া রয়েছে রামাত ডেভিড বিমান ঘাঁটি এবং লেবানন উপকূলের কারিশ গ্যাসক্ষেত্রও।
সোনালী বার্তা/এমএইচ