ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলো ‘বেরিল’
বিপর্যয়কর’ ক্যাটাগরি পাঁচে রূপ নিয়েছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় বেরিল। এটি আটলান্টিক মহাসাগরে মৌসুমের শুরুতেই সৃষ্ট প্রথম শক্তিশালী ঝড় এবং ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে আঘাত হানার পর ক্যাটাগরি ৫ শক্তিতে রূপ নিয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট।
প্রতিবেদন মতে, বড় জলোচ্ছ্বাসের সঙ্গে ঝড়টি স্থানীয় সময় সোমবার (১ জুলাই) ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৫০ মাইল গতি নিয়ে গ্রেনাডার ক্যারিয়াকো দ্বীপে ক্যাটাগরি ৪ মাত্রার শক্তি নিয়ে আছড়ে পড়ে। পরে শক্তি বাড়িয়ে ক্যাটাগরি ৫-এ রূপ নেয় বেরিল।
ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, গ্রেনাডা ও সেন্ট ভিনসেন্ট এবং গ্রেনাডাইন জাতি এমন একটি ঝড়ের কবলে পড়েছে, যা সম্ভবত এই অঞ্চলের ইতিহাসে রেকর্ড করা সবচেয়ে তীব্র হারিকেন হতে যাচ্ছে।
গ্রেনাডিয়ার প্রধানমন্ত্রী ডিকন মিচেল সোমবার বলেছেন, ‘বেরিলের আঘাতে মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যে ক্যারিয়াকো দ্বীপ তছনছ হয়ে গেছে।’
পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি বলেছেন, কর্মকর্তারা ক্ষতিগ্রস্ত দ্বীপগুলোতে ত্রাণ পাঠানোর জন্য কাজ করছেন। যদিও হতাহতের সংখ্যা প্রকাশ করেননি তিনি। এছাড়া যোগাযোগ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সার্বিকভাবে এ সংক্রান্ত প্রকৃত খবর পেতেও দেরি হচ্ছে।
আবহাওয়াবিদরা বলেছেন, বেরিল ১৭৪ বছরের মধ্যে ক্যারিবীয় অঞ্চলের উইন্ডওয়ার্ড দ্বীপপুঞ্জে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী হারিকেন। এর আগে ২০০৪ সালে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৩৫ মাইল বেগে আঘাত হেনেছিল হারিকেন ইভান। এতে ৪১ জনের মৃত্যু হয় এবং ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়ে গ্রেনাডা।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় হারিকেন সেন্টার জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সোমবার রাত ৮টা নাগাদ ঘূর্ণিঝড় বেরিল দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চল থেকে দ্রুত সরে যাওয়ার সময় আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে। এসময় বাতাসের গতি ছিল ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৫৫ মাইল। এর সঙ্গে জলোচ্ছ্বাস আর অতিবৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে বেশকিছু উপকূলীয় এলাকা।
সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজ জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে গ্রেনাডা ও বার্বাডোজ দ্বীপে বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে স্কুল, বাড়িঘর ও কৃষি জমির। বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে গ্রেনাডার ৯৫ ভাগ এলাকা। বন্ধ হয়ে গেছে টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবাও।
সোনালী বার্তা/এমএইচ