গাজার ১০ জনের মধ্যে ৯ জনই বাস্তুহারা
ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায় দখলদার ইসরায়েল বাহিনী। এতে করে গাজা উপত্যকায় প্রতি ১০ জনের মধ্যে নয়জনই একবারের জন্য বাস্তুচ্যুত হয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থা বুধবার এ তথ্য জানিয়েছে। ফিলিস্তিনি অঞ্চলে জাতিসংঘের ওসিএইচএ সংস্থার প্রধান আন্দ্রেয়া ডি ডোমেনিকো বলেছেন, গাজায় প্রায় ১৯ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। খবর এএফপির।
তিনি বলেন, আমরা অনুমান করছি যে, গাজা উপত্যকায় প্রতি ১০ জনের মধ্যে নয়জনই অন্তত একবারে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
ডোমেনিকো বলেন , আমরা আগে অনুমান করেছিলাম যে, এই সংখ্যা হয়তো ১৭ লাখ। আমরা এখন রাফায় কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে দেখেছি এই সংখ্যা আরও বেশি। আমরা গাজার উত্তরাঞ্চলেও কাজ করছি। সেখানেও লোকজন এক স্থান থেকে অন্যত্র সরে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, এই সংখ্যার পেছনে রয়েছে এমন সব মানুষ আছে যারা আতঙ্কে সারা দিন কাটাচ্ছে এবং তাদের চোখে রয়েছ বাঁচার স্বপ্ন ও আশা। গাজাবাসি এই আতঙ্ক থেকে মুক্তি চায়। তারা তাদের স্বপ্ন নিয়ে বাঁচতে চায়। তাদের রয়েছে নানা রকম অভিযোগ।
সম্প্রতি ইসরায়েলি সেনাবাহিনী নতুন করে উচ্ছেদ আদেশ জারি করার পর ফিলিস্তিনিরা গাজার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খান ইউনিসের পূর্বাঞ্চল ছেড়ে পালাতে শুরু করেন। জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা মঙ্গলবার জানিয়েছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এই নতুন উচ্ছেদের আদেশের ফলে গাজার এক চতুর্থাংশ অর্থাৎ প্রায় আড়াই লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
ইউএনআরডব্লিউএ-এর মুখপাত্র লুইস ওয়াটারিজ গাজা থেকে ভিডিও কলের মাধ্যমে জেনেভায় সাংবাদিকদের বলেন, আমরা দেখেছি মানুষ চলাচল করছে, পরিবারগুলো এলাকা ছেড়ে যাচ্ছে এবং লোকজন তাদের জিনিসপত্র গুছিয়ে নিতে শুরু করেছে।
সোনালী বার্তা/এমএইচ