পুঠিয়ায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের বসবাসকারীদের রাস্তা না থাকায় দুর্ভোগ
রাজশাহীর পুঠিয়া পৌরসভা এলাকায় পীরগাছা- কাঠালবাড়ীয়া মুসাখাঁ আশ্রয়ণ প্রকল্পটি গড়ে ওঠেছে। মুসাখাঁ আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় মোট ১১৭ টি পরিবার বসবাস করে। এর মধ্যে বেশিরভাগ পরিবারের লোকজন বাড়ি থেকে বের হবার রাস্তা না থাকায় এক রকম ঘরবন্দি অবস্থায় জীবনযাবন করছে।
বাড়ির পাশেই পাকা রাস্তা থাকলেও বাড়ি থেকে বের হয়ে পাকা সড়কে যাবার কোন রাস্তা না থাকায় দুর্ভোগে পড়েছে এই আশ্রয় প্রকল্পের অধিকাংশ বাসিন্দারায়। রাস্তা হিসেবে যে পথ ব্যবহার করতো তা ছিলো এক ব্যক্তি মালিকানাধীন সম্পত্তি। সেই জমিতে এখন কলাগাছ রোপন করলে রাস্তাটি বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া অন্য পথগুলো অনেক আগেই বাঁশের চেগার দিয়ে বন্ধ করে রেখেছে ব্যক্তি মালিকানাধীন সম্পত্তির মালিকরা। রাস্তাগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চলতি বর্ষা মৌসুমে খুব কষ্ট এবং দুর্ভোগে সময় পার করছে মুসাখাঁ আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আশ্রয়ণ প্রকল্পটি লম্বায় দীর্ঘ এক কিলোমিটার এলাকায় জুড়ে অবস্থিত। আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে কাছাকাছি পাকা রাস্তায় উঠার জন্য রাস্তা রয়েছে শেষ প্রান্তে একটি মাত্র রাস্তা । রাস্তাটি শেষ প্রান্তে হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়ে রয়েছে আশ্রয়ণ প্রকল্পে থাকা বসবাসকারীরা।
সরকারি জমিতে রাস্তা হবে এমন জায়গা নির্ধারণ করা হলেও অজানা এক কারণে এই জায়গাটিতে রাস্তা স্থাপন হচ্ছে না। রাস্তাটি সংস্কার হলে যাতায়াতের ক্ষেত্রে বড় একটি ভূমিকা পালন করবে। রাস্তাটি নির্মান হলে ওই গ্রামের ছেলে- মেয়েরা সুন্দর ও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য স্বাভাবিক ভাবে চলাচল করে স্কুল, কলেজে গিয়ে পড়াশোনা করে উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন করতে পারবে। কিন্তু সেই স্থানটি স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালীরা এখন দখল করে ভোগ করছে।
মুসাখা আশ্রয় প্রকল্পের সার্বিক বিষয়ে খোঁজখবর রাখার জন্য একটি কমিটি রয়েছে। সেই কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বলেন, রাস্তা ছাড়া আমরা অনেক কষ্টে বসবাস করছি এই আশ্রয়ণ প্রকল্পে। আমরা অনেকবারই আমাদের ওয়ার্ড কাউন্সিলারদের রাস্তার বিষয়ে অবগত করেছি। কাউন্সিলর আমাদের থেকে একটি লিখিত আবেদন চেয়েছে, আমরা লিখিত আবেদনও দিয়েছি কিন্তু এখন পর্যন্ত তার কোন সুফল পাচ্ছিনা।
পুঠিয়া পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম রুহুল বলেন, তারা আমার কাছে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি। পূর্বে তারা যে সকল রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতো সেগুলো আসলে ব্যক্তিমালিকানা হওয়ার কারণে বিভিন্ন জায়গায় বাঁশের চ্যাগারের বেড়া দিয়েছে এবং অনেকে স্থানে জমিতে ফসল রোপন শুরু করেছে, যার কারণে এখন বর্তমানে মুসাখাঁ আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলোতে যাওয়ার রাস্তা না থাকায় তারা খুব কষ্টে আছে । তবে মুসাখাঁ আশ্রয়ণ প্রকল্পে নতুন করে একটি রাস্তা হওয়া খুবই দরকার বলে আমি মনে করি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) একেএম নূর হোসেন নির্ঝর বলেন, আমার কাছে এ ধরনের কোন অভিযোগ আসেনি। যদি কোন অভিযোগ আসে তাহলে তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সোনালী বার্তা/এমএইচ