শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:৫১ অপরাহ্ন

সৌদি প্রো লিগ নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিলো আরব সরকার

স্পোর্টস ডেস্ক / ১৫৯ Time View
Update : শনিবার, ৬ জুলাই, ২০২৪

কোচ এরিক টেন হ্যাগের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছেড়ে সৌদি ক্লাব আল নাসরে যোগ দেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। এরপর থেকে তারার মেলা বসতে থাকে সৌদি প্রো লিগ।

এতে বেড়েছে প্রচার এবং প্রসার। তাই নিজ দেশের ফুটবল লিগ নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি সরকার।

সিআরসেভেনের পর নেইমার, করিম বেনজেমা, এনগালো কান্তে, সাদিও মানের মতো ইউরোপ মাতানো তারকারা পাড়ি জমান সৌদি আরবে। এতে প্রচার এবং প্রসার বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়েছে আয়। সেই আয় আরও বাড়াতে চায় সৌদি সরকার।

সৌদি প্রো লিগের চারটি ক্লাব বেসরকারি মালিকদের দ্বারা পরিচালিত। ইউরোপা মাতানো তারকাদের ভিড় করায় রাজকোষ ভরছে এই চার ক্লাব থেকে। এ কারণে লিগের বাকি ক্লাবকে বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার।

১৮টি ক্লাব খেলে সৌদি প্রো লিগে। এর মধ্যে আল নাসের, আল হিলাল, আল আহলি ও আল ইত্তিহাদ পরিচালিত হয় বেসরকারি মালিকানায়। রোনালদো-সাদিও মানে খেলছেন আল নাসেরে।

বড় অঙ্কের প্রস্তাব দিয়ে লিওনেল মেসিকে রাজি করাতে না পারলেও নেইমারকে দলে ভেড়ায় আল হিলাল। ফরাসি তারকা বেনজেমা যোগ দেন আল ইত্তিহাদে। ইউরোপে মাতানো ফুটবলাররা এই ক্লাবগুলোতে যোগ দেওয়ায় স্বাভাবিকভাবে মান বেড়েছে।

এতে পিছিয়ে পড়ে বাকি ক্লাব গুলো। ফলে মৌসুমজুড়ে লিগে দাপট দেখাচ্ছে ক্লাবগুলো। সদ্য শেষ হওয়ায় সৌদি প্রো লিগ জিতেছে আল হিলাল। টানা ৩৪ ম্যাচে জয় পেয়েছে ক্লাবটি।

এই চার ক্লাবের মালিকানায় রয়েছে সৌদির পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড। দেশের সবচেয়ে বড় তেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এটি। গত বছর দলবদলের বাজারে চারটি ক্লাবের জন্য তারা ব্যয় করে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা।

দলবদলে এরচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় হয়েছে কেবল ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে। এতে কর বাবদ অনেক টাকা পেয়েছে সৌদি সরকার। এ কারণে বাকি ক্লাবগুলোকেও বেসরকারি খাতে ছেড়ে দিতে চাইছে তারা।

সৌদি সরকারের ক্রীড়ামন্ত্রী জানান চলতি বছর আগস্টের মধ্যে আল নাহদা, আল জুলফি, আস আনসার, আল ওখদুদ, আল ওরোইবা ও আল খোলোউদকে বেসরকারি খাতে বিক্রি করে দেওয়া হবে।

ক্লাবগুলোর আর্থিক অবস্থা, প্রশাসন ও অবকাঠামো খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ক্লাবগুলোর মালিকানা কারা পাবে। পরের ধাপে অন্য আটটি ক্লাবকে বেসরকারি খাতে বিক্রি করা হবে।

ধারণা করা হচ্ছে ক্লাবগুলোকে বেসরকারি খাতে ছেড়ে দিলে প্রতি বছর কর বাবদ ৪ হাজার কোটি টাকা আয় হবে সরকারের। এই সিদ্ধান্তের ফলে অর্থ জোগানের পাশাপাশি দেশের ফুটবলকে আরও উন্নত করবে বলে বিশ্বাস সৌদি সরকারের।

সোনালী বার্তা/এমএইচ


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর