রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:৪২ পূর্বাহ্ন

তিস্তার পানিতে নতুন এলাকা প্লাবিত

নিজস্ব প্রতিবেদক / ১০৬ Time View
Update : রবিবার, ৭ জুলাই, ২০২৪

ভারী বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে তিস্তা ও ধরলা নদীর তীরবর্তী এলাকা, ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। হুমকির মুখে রয়েছে তিস্তার বাঁধ। এতে জেলার ৫ উপজেলায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ৫ হাজার পরিবার। নতুন নতুন এলাকায় পানি প্রবেশ করছে।

আজ রোববার সকাল ৯টায় তিস্তা ব্যারাজের পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ দশমিক ০২ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার)। এর আগে সকাল ৬টায় তিস্তার পানি ১২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়।

এছাড়া ধরলা নদীর পানি শিমুলবাড়ি পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে লালমনিরহাটের আদিতমারীর মহিষখোচায় তিস্তা নদীর স্পার বাঁধে ধস দেখা দিয়েছে। তাৎক্ষণিক পাউবো থেকে জিও ব্যাগ ফেলে ধস আটকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তবুও আতঙ্কে রয়েছে ভাটি এলাকার হাজারো পরিবার। এছাড়া সদর ও আদিতমারী উপজেলায় নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করায় নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন নদী পাড়ের মানুষ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিস্তা ও ধরলার নদীর পানি বৃদ্ধিতে লালমনিরহাটের পাঁচ উপজেলার নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরের বসতবাড়ি ও রাস্তাঘাট পানি নিচে তলিয়ে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছে নদী পাড়ের মানুষ। পাশাপাশি গবাদি পশু, হাঁস-মুরগি নিয়ে বিপদে পড়েছেন তারা। প্রায় ৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পরিবারগুলো কলার ভেলা ও নৌকায় করে চলাচল করছে। অনেকে রান্না করতে না পেরে শুকনা খাবার খেয়ে দিন পার করছে।

হাতীবান্ধা উপজেলার প্রকল্প ও বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম বলেন, উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের তিস্তা কলোনি বাঁধ, বড়খাতা ও হাতীবান্ধা বাইপাস সড়কে যে ধস শুরু হয়েছে তা দ্রুত মেরামতের জন্য কাজ চলছে। হাতীবান্ধা উপজেলার সিন্দুর্ণা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, অত্র ইউনিয়নের তিনটি ওয়ার্ডে প্রায় ৫০০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি দেখা দিয়েছে নদীভাঙন।

পাউবো লালমনিরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টা এই অঞ্চলের নদনদীর পানি বাড়তে পারে। ফলে নিচু এলাকা প্লাবিত হবে। ধস এলাকায় জরুরি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। আমরা সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছি।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ বলেন, পানিবন্দি মানুষের তালিকা চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।

সোনালী বার্তা/এমএইচ


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর