তিস্তা নিয়ে ভারতের প্রস্তাব বিবেচনা করতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিস্তা প্রকল্পের বিষয়ে চীন ও ভারত উভয় দেশ প্রস্তাব দিলেও যৌথ নদী বিবেচনায় ভারতের প্রস্তাব প্রথমে বিবেচনা করতে হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
আজ রোববার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যাপক বাণিজ্য ঘাটতি দেখা যাচ্ছে, এ বিষয়ে এবার কোনো আলোচনা হবে কি না- জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চায়নার সঙ্গে আমাদের বাণিজ্য ঘাটতি অনেক। এ ঘাটতি মেটাতে আরও বেশি করে যেন বাংলাদেশের কৃষিপণ্যসহ অন্যান্য পণ্য চীনে রপ্তানি করার ক্ষেত্রে নন-ট্যারিফ বাধাগুলো তুলে নেওয়া হয়। পাশাপাশি চীনের আমদানিকারকদেরও যেন উৎসাহিত করা হয়।
চীন সফরে তিস্তা প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হবে কি না- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, তিস্তা নদী ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ নদী। এ যৌথ নদী ব্যবস্থাপনার জন্য ভারত একটি প্রস্তাব দিয়েছে। একই সঙ্গে ভারত একটি টেকনিক্যাল টিম পাঠাবে বলেও আমাদের জানিয়েছে। আমাদের টেকনিক্যাল টিমের সঙ্গে যৌথভাবে সমীক্ষা করে সেখানে কী করা প্রয়োজন তা তারা নির্ধারণ করতে হবে।
এ প্রসঙ্গে ড. হাছান বলেন, যেহেতু দুই দেশের যৌথ নদী এবং যে দেশের সঙ্গে যৌথ নদী তাদের একটি প্রস্তাব আছে, সুতরাং স্বাভাবিকভাবেই আমাদের প্রথমে সেই (ভারতের) প্রস্তাব বিবেচনা করতে হবে। চীনও প্রস্তাব দিয়েছে, সেটি ভালো। কিন্তু যেহেতু ভারত প্রস্তাব দিয়েছে আমরা মনে সেটি প্রথমে বিবেচনা করতে হবে। সফরে তিস্তা নিয়ে তারা (চীন) আলোচনা তুললে আলোচনা হবে।
আমাদের যেহেতু বিজনেস ডেলিগেশন সেখানে যাচ্ছে, তারা যেন সেখানকার আমদানিকারকদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে পারেন, সেটি আমরা গুরুত্ব সহকারে আলোচনা করবো।
ড. হাছান বলেন, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। চীনের সঙ্গে আমাদের স্ট্র্যাটিজিক রিলেশন আছে। তারা আমাদের বড় উন্নয়ন সহযোগী রাষ্ট্র। অবশ্যই এ সফর আমাদের সে সম্পর্ক আরও শক্তিশালী ও বিস্তৃত করবে।
সোনালী বার্তা/এমএইচ