সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:০৮ অপরাহ্ন

পিএসসির তিন কর্মকর্তাসহ ১০ জন কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক / ৮৫ Time View
Update : মঙ্গলবার, ৯ জুলাই, ২০২৪

প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে গ্রেফতার ১৭ আসামির মধ্যে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলীসহ সাতজন আদালতে স্বীকারোক্তি জবানবন্দি দিচ্ছেন। আর পিএসসির তিন কর্মকর্তাসহ ১০ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা হকের আদালত এ আদেশ দেন।

প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানায় করা মামলায় গ্রেফতার ১৭ আসামিকে দুপুরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এদের মধ্যে পিএসসির সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলীসহ সাত আসামি স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হন। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাইবার ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড অপারেশনের অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার জুয়েল চাকমা তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন।

বিসিএসের প্রশ্নফাঁস নিয়ে পিএসসির বিরুদ্ধে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের পর ফেসবুকে সৈয়দ আবেদ আলীর পোস্টগুলো ভাইরাল হতে থাকে। এ ঘটনায় সোমবার (৮ জুলাই) রাতে পুলিশ বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন আইনে মামলা করে। মামলায় ১৭ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

এছাড়া অপর ১০ আসামিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তিনি। পরে ১০ আসামির জামিন চেয়ে আবেদন করেন আইনজীবীরা। আলাদা সাত ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাদের জবানবন্দি রেকর্ড হচ্ছে।

অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালতে ১০ আসামির জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়া সাত আসামি হলেন- পিএসসির সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী, অফিস সহায়ক খলিলুর রহমান, অফিস সহায়ক (ডিসপাস) সাজেদুল ইসলাম, ব্যবসায়ী আবু সোলায়মান মো. সোহেল, ব্যবসায়ী সহোদর সাখাওয়াত হোসেন ও সায়েম হোসেন এবং বেকার যুবক লিটন সরকার।

কারাগারে পাঠানো ১০ আসামি হলেন- পিএসসির উপ-পরিচালক মো. আবু জাফর ও মো. জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী পরিচালক মো. আলমগীর কবির, নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের নিরাপত্তা প্রহরী শাহাদাত হোসেন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিকেল টেকনিশিয়ান মো. নিয়ামুন হাসান, নোমান সিদ্দিকী, প্রিয়নাথ রায়, মো. জাহিদুল ইসলাম, মো. মামুনুর রশীদ
এবং সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়াম।

সোনালী বার্তা/এমএইচ


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর