চাহিদা পূরণে ১৮ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন জ্বালানি তেল আমদানি করবে সরকার
দেশের জ্বালানি চাহিদা পূরণে ১৮ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন জ্বালানি তেল আমদানি করবে সরকার।ভারত থেকে রাষ্ট্রীয় চুক্তির আওতায় ৩০ মেট্রিক টন ডিজেল এবং আরও সাতটি দেশ থেকে ১৮ লাখ মেট্রিক টন বিভিন্ন ধরনের জ্বালানি তেল কেনা হবে।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় জ্বালানি তেল ও এলএনজি আমদানির এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
সভায় অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী সভাপতিত্ব করেন। কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত ছিলন।
সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান বলেন, ‘সভার অনুমোদনক্রমে স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি কেনার জন্য সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত ২৩টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মাস্টার সেল অ্যান্ড পারচেজ অ্যাগ্রিমেন্ট (এমএসপিএ) চুক্তি চূড়ান্ত করা হয়। ’
চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে ভারত থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে ৩০ হাজার টন ডিজেল আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
ভারতের নুমালিগড় রিফাইনারির শিলিগুঁড়ি মার্কেটিং টার্মিনাল থেকে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী পাইপলাইন হয়ে পার্বতীপুর ডিপোতে তেল আসবে। এই তেল দেশে আসবে জুলাই-ডিসেম্বরের মধ্যে। ভারত থেকে আমদানিতে প্রিমিয়ামসহ খরচ হবে ২৭৩ কোটি ৬৭ লাখ টাকা।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মাহমুদ হোসাইন খান বলেন, সরকার টু সরকার মেয়াদি চুক্তির আওতায় জুলাই থেকে ডিসেম্বরে প্রিমিয়াম ও রেফারেন্স প্রাইসসহ ওমান, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, চীন, আরব আমিরাত, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া থেকে ১৮ লাখ টন বিভিন্ন ধরনের জ্বালানি আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। গত ২৮ জুনের রেফারেন্স প্রাইস বিবেচনায় নিয়ে বিভিন্ন জ্বালানির প্রিমিয়াম ঠিক করা হয়েছে।
তাতে দেখা যাচ্ছে, প্রতি টন ডিজেলের প্রিমিয়াম ৮.৮০ ডলার, জেটফুয়েল ১০.৮৮ ডলার, ফার্নেস অয়েল ৪৬.৭২ ডলার, অকটেন ৯.৮৮ ডলার এবং মেরিন ফুয়েল ৭৬.৮৮ ডলার।
সাতটি দেশ থেকে বিভিন্ন জ্বালানি তেল আমদানির জন্য প্রিমিয়াম ও রেফারেন্স প্রাইসসহ আমদানি মূল্য ধরা হয়েছে আনুমানিক ১৬ হাজার ৪৮৪ কোটি টাকা।