মাদারীপুরে স্কুলের অনিয়মের অভিযোগ করায় অভিভাবককে মারধর

মাদারীপুরের ডাসারে এ কে ডি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অনিয়ম নিয়ে ডিসির কাছে লিখিত অভিযোগ করার কারনে সাইফুল ইসলাম জয় নামে এক শিক্ষার্থীর অভিভাবকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে ওই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ডাসার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান মো.রেজাউল করিম ভাসাই শিকদারের বিরুদ্ধে । শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। অপরদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে রাতেই স্থানীয়রা উপজেলার আইসার বাজারে সড়ক অবরোধ করে ঘন্টাব্যাপি বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। এসময় বক্তারা স্কুলের প্রধান শিক্ষক দুলাল চন্দ্র নাগের অপসরণ ও স্কুলের শিক্ষক নিয়োগ বাতিল করে পুণরায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে যোগ্য প্রার্থী নেওয়ার দাবী জানান।
ভুক্তভোগী ও সরজমিনে গিয়ে জানা গেছে, উপজেলার এ কে ডি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নিয়োগসহ বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে মাদারীপুর জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন ওই এলাকার বাসিন্দা অভিভাবক সাইফুল ইসলাম জয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই অভিভাবকে মারধর করেন স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ডাসার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম ভাসাই শিকদার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন স্থানীয়রা জানান, অনিয়মের অভিযোগ করলেই একটা লোককে মারধর করতে হবে। চেয়ারম্যানের কাজটা ঠিক হয়নি।
ভুক্তোভোগী সাইফুল ইসলাম জয় জানান, আমি স্কুলের প্রধান শিক্ষক দুলাল চন্দ্র নাগ ও স্কুলের বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে মাদারীপুর জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দেই। জেলা প্রশাসক বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। আমি লিখিত অভিযোগের বিষয়টি স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ডাসার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম ভাসাই শিকদারকে জানালে তিনি আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে মারধর করেন। আমি এ হামলার বিচার চাই।
অভিযুক্ত একেডি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. রেজাউল করিম ভাসাই শিকদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান,আমি স্কুলের সভাপতি আমাকে না বলে গতকাল স্কুলের ছাত্রীদের নিয়ে স্কুলে লেখাপড়া হয় না ছাত্রীদের নিয়ে অভিযোগ করতে গেছে ডিসির কাছে। স্কুলে লেখাপড়া হয় না আমার কাছে অভিযোগ করতো, আমি বিচার করতাম। আমি রবিবার স্কুলে ছাত্রীদের অভিভাবকদের ডেকেছি।সাইফুল ইসলাম জয় আমাকে ডিসির কাছে অভিযোগ দিয়ে এসে হুমকি দেয় ডিসির কাছে অভিযোগ দিয়েছি। পরে তাকে আমি একটা থাপ্পড় দিয়েছি।
এবিষয়ে ডাসার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম শফিকুল ইসলাম বলেন,ঘটনার পরে পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করে।মারধরের ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ নিয়ে আসেনি।অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে ডাসার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ আফরোজ জানান, এ বিষয় আমাকে কেউ অবগত করেনি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি দেখব।
সোনালী বার্তা/এমএইচ