বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণে আগ্রহী প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণে আগ্রহী প্রধানমন্ত্রী আজ উপকূল থেকে উপকূল যোগাযোগের ওপর গুরুত্ব দেওয়ার পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং সহযোগিতার ওপর জোর দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘প্রয়োজন হলে বাংলাদেশ কক্সবাজারে একটি আলাদা জমি দিতে পারে যেখানে থাই বিনিয়োগকারীরা তাদের পর্যটন ব্যবসাকে সমৃদ্ধ করতে পারেন।’
প্রধানমন্ত্রীর সাথে সরকারি বাসভবন গণভবনে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ড. নালিনি তাভিসিনের সাক্ষাতকালে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব মোঃ নাঈমুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
থাই বাণিজ্য প্রতিনিধিও ড. নলিনী তার চার দিনের সরকারি সফরের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সফর করছেন। তিনি শনিবার ঢাকায় পৌঁছেছেন এবং একটি থাই ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাজ শেষ হলে থাইল্যান্ডের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন সহজ হবে।
তিনি উল্লেখ করেন, দেশের সমুদ্রসীমা চিহ্নিত হওয়ায় ব্লু ইকোনমি সম্পর্কিত প্রতিটি কাজ করা ভালো হবে।
তিনি বলেন,‘যেহেতু সমুদ্রসীমা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে,এখন আমাদের জন্য প্রচুর সুযোগ রয়েছে এবং থাইল্যান্ডের বিনিয়োগকারীরা এখানে তাদের দক্ষতা কাজে লাগানোর জন্য যেকোনো স্থানীয় বিনিয়োগকারীর সাথে একটি যৌথ উদ্যোগ প্রতিষ্ঠা করতে পারেন।’
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব বলেন, ‘তারা সক্রিয়ভাবে এখানে অংশীদার খুঁজছে এবং তারা কাজ করছে।’
তিনি বলেন, থাই প্রতিনিধিদল হালাল খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে তাদের আগ্রহ প্রকাশ করেছে কারণ তাদের হাজার হাজার হালাল খাদ্য পণ্য রয়েছে।
খান বলেন,‘তারা বলেছে, বৈশ্বিক এবং জাতীয় বাজার দখলের জন্য বাংলাদেশের জন্য এই খাতে সহযোগিতা করার একটি অসাধারণ সুযোগ রয়েছে।’
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান,অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।