রপ্তানির জন্য নতুন পণ্য ও বাজার খোঁজার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বেসরকারি খাতকে উন্মুক্ত করা হয়েছে। দেশের মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কতটা বাড়ল, সেটা খেয়াল রাখতে হবে তাদের। শুধু বিদেশে রফতানি নয়, পণ্য দেশের বাজারেও বাজারজাত করতে হবে ব্যবসায়ীদের।
আজ রোববার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘জাতীয় রপ্তানি ট্রফি’ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
সরকারপ্রধান বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বল্পোন্নত দেশ রেখে গিয়েছিলেন। এরপর ২৯ বছর বাংলাদেশের মানুষের জীবনে কোনো উন্নতি হয়নি, পরিবর্তনও ছিল না। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর দেশকে এগিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছে।
এ সময় রপ্তানির জন্য নতুন পণ্য ও বাজার খোঁজার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, কোনো একটা পণ্যের ওপর নির্ভরশীল হওয়া যাবে না। রাজনৈতিক নয়, এখনকার কূটনীতি হবে অর্থনৈতিক।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৩৩তম অর্থনীতির দেশ এখন বাংলাদেশ। দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী হয়েছে, পরিকল্পিতভাবে কাজ করার জন্যই শক্তিশালী অর্থনীতি গড়া সম্ভব হয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা, মধ্য এশিয়ার দেশগুলোতে পণ্য রফতানি বাড়ানোর কথা জানিয়ে-তিনি বলেন,
চাহিদার কথা মাথায় রেখে সময়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে পণ্য উৎপাদন করতে হবে আমাদের। বাংলাদেশের মাটি, সোনার মাটি। এ মাটি কাজে লাগিয়ে নিজেদের জন্য উৎপাদন করে এবং দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রফতানি করা যায়, তার ব্যবস্থা করতে হবে। খাদ্য পণ্য, গার্মেন্ট, ডিজিটাল ডিভাইসের মতো নতুন নতুন চাহিদা সম্পন্ন পণ্য রফতানির উদ্যোগ নিতে হবে।
এর আগে, রপ্তানি খাতে অবদানের জন্য ৭৭টি প্রতিষ্ঠানের হাতে ‘জাতীয় রপ্তানি ট্রফি’ তুলে দেন শেখ হাসিনা।
আজ পণ্য রফতানি বাণিজ্যের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে দেশের অর্থনীতিতে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২১-২২ অর্থবছরের জাতীয় রফতানি ট্রফি প্রদান করা হয়।
সোনালী বার্তা/এমএইচ