বাগমারায় কাঁচা রাস্তার বেহাল দশা, দীর্ঘ দিনেও পাকা হয়নি
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার দ্বীপপুর ইউনিয়নের বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্মিত কাঁচা গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা দীর্ঘ দিনেও পাকা হয়নি। বৃষ্টি হলে কাদা মাড়িয়ে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ গ্রামবাসীকে এ সড়কে চলাচল করতে হয়।
উপজেলা সদর ভবানীগঞ্জ-মীরপুর-হাটকালুপাড়া ও ফতেপুর হয়ে নওগাঁ যাবার কাাঁচা রাস্তাটি পাকা করার দাবি দীর্ঘ দিনের। বৃষ্টি হলে এ রাস্তায় চলাচলকারী মানুষকে অবর্ণনীয় দুর্ভোগের শিকার হতে হয়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (বাপাউবো’র) উপজেলার বেড়ি বাধেঁর উপর নির্মানকৃত রাস্তায় দ্বীপপুর ইউনিয়নসহ আশে পাশের ১০টি গ্রামের মানুষ যাতায়াত করে।
এ রাস্তায় মীরপুর- হাটকালুপাড়া রাস্তা হয়ে ফতেপুর বাজার হয়ে নওগাঁ জেলা সদরে সাথে যোগাযোগে হয়। এতে বাগমারা উপজেলা, মান্দা উপজেলা ও আত্রাই উপজেলার লোক চলাচলের অতি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। বর্ষার সময় রাস্তাটি কর্দমাক্ত হয়ে যায় ফলে কোনো ভ্যান, সাইকেল, মোটরসাইকেল তো দূরের কথা, মানুষ পায়ে হেঁটে চলতেও কষ্টের শিকার হচ্ছে।
ফতেপুর এলাকার মেম্বর তালেব আলী, কালুপাড়া গ্রামের মাওলানা আব্দুল আজিজসহ অনেকে জানান রাস্তার সামান্য ফাঁকে জুলাপাড়াপাড়া হাট হয়ে (বাপাউবো’র) বাঁধ রাস্তায় একটি পাকা রাস্তাও রয়েছে। আর সামনে ২০০ ফিট রাস্তা উপজেলা এলজিইডি’র সড়ক রয়েছে। বাঁকি বাঁধের মীরপুর হতে ফতেপুর ৪ কিঃ রাস্তা পাকাকরণে কেউর ব্যাবস্থ করছেন না।
ফলে ১০/১২টি গ্রামের লোক ভোগান্তিতে রয়েছে। সড়কটি পাকা হলে একদিকে যেমন বিভিন্ন গ্রামের ছাত্র-ছাত্রী ও লোকজনের যাতায়াতে ভোগান্তি কমবে, অন্যদিকে মুমূর্ষু রোগী বহনে বেগ পেতে হবে না। শ্রমজীবী মানুষেরা ভ্যান, চালিয়ে সহজে জীবিকা নির্বাহ করতে পারবেন।
এলাকার হুলিখালি এলাকার বাসিন্দা ভবানীগঞ্জ বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাফেজুর রহমান বলেন, উপজেলার বিভিন্ন সড়ক পাকা হলেও এ সড়কের কোন পরিবর্তন হয়নি। এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন চাষিরা তাঁদের উৎপাদিত সবজি কালুপাড়া, ফতেপুর ও নওগাঁ পাইকারি বাজারে আনা নেওয়া করে। বর্ষা মৌসুমে, এই রাস্তার ছোট বড় গর্তে পানি জমে যায়। তখন গাড়ি চলাচল তো দূরের কথা, হেঁটেও চলাচল করা দায়। শুকনো মৌসুমে ধুলাবালিতেও চলাচল করা কঠিন। তা ছাড়া রাস্তার ছোট-বড় গর্তে ঘটছে দুর্ঘটনা।
এদিকে রোববার (১৪ জুলাই) সরেজমিন ওই রাস্তায় দুর্ভোগের শিকার এক মাছের গাড়ি সড়কের খাদে আটকে যাওয়ার দৃশ্য দেখা যায়। ওই মাছের ট্রাক চালক জাহাঙ্গীর বলেন, ‘সরকার সারা দেশে কত কাজ করতিছে। এই রাস্তাটার দিক একটু তাকাইলে ভালো হতো। আমরা এই রাস্তায় চলাচল করি, আমরাই শুধু কষ্ট বুঝি। এইগুলা দেখার যেন কেউ নাই।’ সব ধরনের গাড়ি প্রায় আটকে যায়। এতে যাতায়াত বিঘ্ন ঘটছে। তার ভাষ্য রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি আসে, একের পর এক চেয়ারম্যান পরিবর্তন হলেও তাদের রাস্তায় উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুর রহমান অঙ্কুর জানান, আমাদের কাজ ওই উপজেলায় হয়। কোন রাস্তার বিশেষ প্রয়োজন হলে নিয়মানুসারে কাজ করা হবে। তবে বিষয়টি লোকেশনসহ আমাকে জানালে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন বলে জানিয়েছেন।
সোনালী বার্তা/এমএইচ