শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৬ পূর্বাহ্ন

পুঠিয়ায় ঢলনে জিম্মি পেঁয়াজ-রসুন চাষিরা

মোঃ রমজান আলী, রাজশাহী / ১১৫ Time View
Update : মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই, ২০২৪

রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর হাটে কৃষকদের জিম্মি করে নেওয়া হচ্ছে রসুন-পেঁয়াজে বিক্রয়ে দিতে হচ্ছে অতিরিক্ত ঢলন। প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করায় কৃষকরা প্রতি মণে এক থেকে দুই কেজি অতিরিক্ত ঢলন নিচ্ছে প্রাইকারী ব্যবসায়ীরা। যার বাজার দর প্রতি কেজি ২০০ শত টাকার রসুন ও ১শ থেকে দেড়শো টাকার পিঁয়াজ নিরবে তুলে দিতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের হাতে।

গত শনিবার (০৭-০৭-২০২৪ ইং) বানেশ্বর হাটে প্রতি মণে দুই কেজি পরিবর্তে এক কেজি ঢলণ নেবার নির্দেশনা প্রদান করেন হাট ইজারাদার জাহাঙ্গীর আলম।
এতে করে সাধারণ কৃষকরা খুব খুশি হউন। আর হাটে পেঁয়াজ-রসুনের আমদানি বৃদ্ধি পায়। আর সেই সাথে ব্যবসায়ীদের একটি চক্র হাট ইজারাদারের সাথে সমঝোতা করে আবার পূণরায় দুই কেজি ঢলণ নেওয়া শুরু করে।

এদিকে উপজেলার ঝলমলিয়া, মোল্লাপাড়া, সৈয়দপুর হাট ও ধোপাপাড়া সহ ছোট বড় সব হাটে ৪১ কেজিতে মণ নেওয়া হচ্ছে। উপজেলার বানেশ্বর হাটেই এক মাত্র সিন্ডিকেটের সাথে আপস করে ৪২ কেজিতে মণ হিসেবে পেঁয়াজ -রসুন বেচা-কেনা হচ্ছে।

পুঠিয়া উপজেলা ঝলমলিয়া হাট ইজারাদার নাজমুল হোসেন সুমন বলেন, আমি ব্যবসায়ী ও কৃষকের কথা চিন্তা করে প্রতি মণে এক কেজি করে ঢলন করেছি।
সেই জন্য আমার সময়ের একটু সমস্যা হবে এটা স্বাভাবিক। বানেশ্বর হাট যদি তারা প্রতি মনে এক কেজি হিসেবে রাখে তাহলে আর কোন ধরনের সমস্যা হবে না বলে আমি আশা করি।

হাটে আগত পিঁয়াজ-রসুন বিক্রেতারা জানান, গত দুই হাট আগে মাইকে ঘোষণা দিল প্রতি মণে এক কেজি করে ঢলন নেওয়া হবে। কিন্তু হাটে আসার পরে দেখছি আগের মতই ২ কেজি হারে ঢলন পিঁয়াজ-রসুন দুটোতে। আমরা অশিক্ষিত মানুষ কার কাছে বিচার দিবো তা জানিনা। তবে আমাদের দুঃখ কষ্ট দেখার কেউ নেই কারণ আমরা তো গরিব কৃষক।

পেঁয়াজ এবং রসুন কিনতে আশা ব্যবসায়ীরা জানান, আমরা তো বেশি নেওয়ার জন্য চেষ্টা করবই। সেজন্য ইজারাদারকে আমর একটু বেশি সুবিধা দিয়ে থাকি তাও সত্য। আমি এর বেশি কিছু বলতে পারছি না।

বানেশ্বর হাট ইজারাদার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমার হাটে এখন ১ কেজি করে ঢলন নেওয়া হয়। কৃষকের থেকে ২ কেজি করে পেঁয়াজ-রসুন ঢলন বেচা-কেনার জন্য নিষেধাজ্ঞা দেওয়া আছে। গত শনিবার বানেশ্বর হাট ঘুরে দেখা যায় তার নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ৪২ কেজিতে মণ হিসাবে পেঁয়াজ- রসুন ক্রয় করছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, এই হাটটি অনেক বড় হওয়ার কারণে কোথাও এমন হতে পারে তবে আমরা হাট পরিচালনা কমিটির কাছে এমন কোন অভিযোগ এলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেব।

এ বিষয়ে পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ, কে, এম, নূর হোসেন নির্ঝর জানান, আমাদের কাছে এ ধরনের কোন অভিযোগ এখন পযর্ন্ত আসেনি। তবে আমার কাছে কোন কৃষক এসে যদি অভিযোগ করে তাহলে আমি বিষয়টি দেখবো।

সোনালী বার্তা/এমএইচ


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর