বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৩১ পূর্বাহ্ন

বিএনপি-জামায়াত অহিংসতার নামে সহিংস আন্দোলন চালিয়েছে : জয়

নিজস্ব প্রতিবেদক / ১০৮ Time View
Update : বুধবার, ২৪ জুলাই, ২০২৪

প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত চক্র তাদের নিজেদের একটি সহিংস আন্দোলন চালাতে মূলত একটি অরাজনৈতিক ও অহিংস আন্দোলনকে ব্যবহার করেছে। তিনি এক্স অ্যাপ্সে এক সাম্প্রতিক পোস্টে লিখেছেন, এরকম শান্তিপূর্ণ একটি আন্দোলন কীভাবে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, সহিংসতা এবং লুটপাটের আন্দোলনে পরিণত হল? কারণ যথারীতি বিএনপি ও জামাত জোট তাদের নিজস্ব একটি সহিংস আন্দোলন চালানোর জন্য মূলত একটি অরাজনৈতিক ও অহিংস আন্দোলনকে ব্যবহার করেছে।

জয় বলেন, তারা যেখানেই সুযোগ পেয়েছে সেখানেই সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তিতেও ব্যাপক লুটপাট করেছে। তারা একটি কারাগারে হামলা করে সকল বন্দীকে মুক্ত ও অস্ত্র লুট করে। তিনি বলেন, এই ধরণের নজিরবিহীন মাত্রার সহিংসতার কারণেই সরকার সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন এবং অস্থায়ীভাবে কারফিউ জারির মতো কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর কারণ হল, আরও কোনো সহিংসতা প্রতিরোধ, সরকারি ও ব্যক্তিগত সম্পত্তি রক্ষা এবং দেশের জাতীয় নিরাপত্তা বজায় রাখা সরকারের দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে।
দেশের শিক্ষার্থীরা মোটেও সন্ত্রাসী নয় উল্লেখ্য করে প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা বলেন, বিএনপি-জামায়াত চক্র তাদের বাংলাদেশ ভাঙার দলীয় এজেন্ডার আড়ালে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করেছে। তিনি মঙ্গলবারের এই পোস্টে লিখেছেন, বিএনপি-জামাত কিভাবে সাধারণ ছাত্রদেরকে বাংলাদেশ ভাঙার দলীয় এজেন্ডার জন্য ব্যবহার করেছে, বাংলাদেশের জনগণ রাষ্ট্রের এই শত্রুদের ক্ষমা করবে না।

জয় লিখেছেন, স্বার্থান্বেশী মহলের সম্পৃক্ততা উপলব্ধি করে, প্রতিবাদকারীরা নিজেরাই সহিংসতায় লিপ্ত থাকার কথা অস্বীকার করে বেশ কয়েকটি বিবৃতি দিয়েছে এবং নিশ্চিত করেছে যে, এসব কর্মকা-ের পিছনে একটি তৃতীয় পক্ষ জড়িত রয়েছে, যার সাথে প্রতিবাদকারীদের কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি বলেন, গত কয়েকদিনে, এই কাপুরুষরা বিক্ষোভকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে জনগণকে আতংকের মধ্যে ঠেলে দিয়ে ব্যাপক সহিংসতা চালিয়েছে। তারা আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তা, সাংবাদিক, সরকারী ও বেসরকারী পরিবহন এবং সম্পত্তি, গুরুত্বপূর্ণ সরকারী প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনাসমূহকে টার্গেট করেছে।

অন্য এক পোস্টে, জয় একটি ভিডিও ফুটেজ শেয়ার করে উল্লেখ্য করেছেন, যখন আওয়ামী লীগ সরকার এবং ছাত্র আন্দোলনকারীরা সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার বা বিলুপ্তি নিয়ে একই আন্দোলনে ছিল, তখন কীভাবে শান্তিপূর্ণ ও অরাজনৈতিক কোটা আন্দোলন সহিংস হয়ে উঠল?

১৮ জুলাইয়ের এক পোস্টে প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা আরেকটি ভিডিও শেয়ার করে বলেছেন, এই ভিডিও থেকে তিনটি বিষয় পরিষ্কার হয়ে যায়। তিনি বলেন, কোন ছাত্র সরকারী ও বেসরকারী সম্পত্তির প্রতি এতটা অবজ্ঞা প্রদর্শন করতে পারে না, এসব ঘটনার জন্যই কারফিউ আরোপ করতে হয়েছে এবং সরকারের এসব পদক্ষেপ তাদের একটি ইতিবাচক দায়িত্ব।

সোনালী বার্তা/এমএইচ


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর