সরকারি-বেসরকারি অফিস, ব্যাংক আজ বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনের মতো বেলা ১১টায় শুরু হয়েছে। চলবে বেলা ৩টা পর্যন্ত।

ঢাকা মহানগর ও ঢাকা জেলা, গাজীপুর মহানগর ও গাজীপুর জেলা, নরসিংদী ও নারায়ণগঞ্জে কারফিউ আজও সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত শিথিল থাকছে। অর্থাৎ দিনের বেলায় সাত ঘণ্টা কারফিউ শিথিল। গতকালও একইভাবে কারফিউ শিথিল রাখা হয়। আর অন্যান্য জেলার ক্ষেত্রে নিজ নিজ কর্তৃপক্ষ (জেলা প্রশাসক) এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

গত সপ্তাহে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সারা দেশে বিক্ষোভ, সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন স্থানে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২০১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি বিজিবি নামানো হয়। একপর্যায়ে সরকার গত শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে সারা দেশে কারফিউ জারি করে। একই দিনে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত হয়। এখনো বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করে যাচ্ছে সেনাবাহিনী।

প্রথম ও দ্বিতীয় দিন দুই ঘণ্টা বিরতি দিয়ে কারফিউ চলে। তৃতীয় দিন তিন ঘণ্টা বিরতি দেওয়া হয়। চতুর্থ দিন ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদীতে চার ঘণ্টা বিরতি দেওয়া হয়।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় গত মঙ্গলবার প্রজ্ঞাপন জারি করে জানায়, বুধবার ও বৃহস্পতিবার সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিসের জন্য বেলা ১১টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত অফিস সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।

কারফিউ জারি হওয়ায় গত রোববার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত সাধারণ ছুটি দিয়েছিল সরকার। কিন্তু কারফিউ শিথিল হওয়ার পর গতকাল থেকে সরকারি-বেসরকারি অফিসগুলো খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তবে বলা হয়, এই দুই দিনের অফিস সময় হবে চার ঘণ্টা (বেলা ১১টা থেকে ৩টা)। গতকাল রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানাগুলোও খুলে দেওয়া হয়।

তিন দিন পর গতকাল সরকারি-বেসরকারি অফিস খোলায় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। যানজটে ঢাকার সড়কে একরকম স্থবির অবস্থা দেখা দিয়েছিল।

গতকালের মতো আজও সকাল ১০টার দিক থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায়, চাকরিজীবীরা কর্মক্ষেত্রে যাচ্ছেন। সড়কে বাস, মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, রিকশা চলছে।

সোনালী বার্তা/এমএইচ