বাংলাদেশকে উড়িয়ে ফাইনালে ভারতের মেয়েরা

শুরুতে ব্যর্থ হলেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। নিগার সুলতানা জ্যোতি, স্বর্ণা আক্তার ছাড়া কেউ পৌঁছাতে পারেননি দুই অঙ্কেও। এ যেন উইকেট হারানোর প্রতিযোগিতা চলছিল। মাত্র ৮০ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ।
তাদের এনে দেওয়া এই অল্প রানের পুঁজি ভারতের কাছে তেমন কোনো বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি।
শুক্রবার ডাম্বুলায় নারী এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে বাংলাদেশকে ১০ উইকেটে হারিয়েছে ভারত। শুরুতে ব্যাট করে ৮ উইকেট হারিয়ে ৮০ রান করে বাংলাদেশ। সেই লক্ষ্য ৯ ওভার হাতে রেখেই বিশাল জয় তুলে নেয় ভারত। ফাইনালে পাকিস্তান অথবা শ্রীলঙ্কার মেয়েদের মুখোমুখি হবে তারা।
২০১৮ সালের আসরে এই ভারতকে হারিয়েই নারী এশিয়া কাপের একমাত্র শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশ। এছাড়া এই আসরে আর ফাইনালে ওঠতে পারেনি লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। এবারও ব্যর্থ হলো বাংলাদেশের বাঘিনীরা।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে একদমই ভালো করতে পারেননি বাংলাদেশি ব্যাটাররা। দুই ওপেনারের কেউই দুই অঙ্ক ছুতে পারেননি। ৪ বলে ৬ রান করে দিলারা আক্তার ও ৯ বলে ৪ রান করে মুর্শিদা খাতুন আউট হন রেনুকা সিংয়ের বলে। দুজনেই হয়েছেন ক্যাচ আউট।
৩৩ রানে ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দুই ওপেনার দিলারা আক্তার ও মুর্শিদা খাতুনের সঙ্গে আসা যাওয়ার মিছিলে যুক্ত হন ইশমা তানজিম, রুমানা আক্তার, রাবেয়া খান ও রিতা মনি।
এমন উইকেট হারানোর মিছিলে অনেকটা একাই দাঁড়িয়ে থাকেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। তার ব্যাটে ভর করেই দলীয় রান পঞ্চাশ ছাড়িয়ে যায়।
এরপর তার সঙ্গে দারুণ এক জুটি গড়ে তোলেন স্বর্ণা আক্তার। ইনিংসের শেষ ওভারে গিয়ে জ্যোতি আউট হলে ৩৬ রানের এই জুটি ভাঙে। ৫১ বলে দুটি চার হাঁকিয়ে ৩২ রান করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
তার বিদায়ের পর শেষ ওভারটি মেডেন করেন রাধা যাদব। ১৮ বলে ১৯ রান করে অপরাজিত থাকেন স্বর্ণা।
জবাবে ব্যাট করতে বাংলাদেশি বোলারদের কোনো পাত্তাই দেয়নি দুই ভারতীয় ওপেনার শেফালি ভার্মা ও স্মৃতি মান্ধানা। মারকুটে ও সতর্ক ব্যাটিংয়ের সঙ্গে সন্ধি এঁটে দলের জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন তারা।
কিছুটা ধীরগতিতে খেলেন শেফালি। ২৮ বলে ২৬ রান করেন তিনি। অন্যদিকে মারকুটে ব্যাট করেন স্মৃতি। ৩৯ বলে ৫৫ রান করেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। তুুলে নেন টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের তৃতীয় হাফসেঞ্চুরি। এতে ১১ ওভারেই জয়ের বন্দরে চলে যায় ভারত।
ভারতের হয়ে ৩টি করে উইকেট শিকার করেন রেনুকা সিং ও রাধা যাদব।
সোনালী বার্তা/এমএইচ