ইসরায়েল-লেবাননের মধ্যে বড় সংঘাতের আশঙ্কা
ইসরায়েল অধিকৃত গোলান মালভূমিতে ফুটবল মাঠে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছে। এই হামলার পর নতুন করে সংঘাতের দানা বাঁধতে শুরু করেছে। ইসরায়েলের দাবি, লেবাননভিত্তিক সংশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ এই হামলা চালিয়েছে। যদিও হিজবুল্লাহ এই দাবি অস্বীকার করেছে।
বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন ফুটবল মাঠে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনার পর অনেকদিন ধরে বিচ্ছিন্নভাবে সংঘাতে থাকা দুইপক্ষের মধ্যে নতুন করে বড় ধরনের যুদ্ধের সূচনা হতে পারে। ইতিমধ্যে হিজবুল্লাহকে এই হামলার জন্য উপযুক্ত জবাব দেওয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু যুক্তরাষ্ট্র গিয়েছিলেন। সেখানে সফর সংক্ষিপ্ত করে ইসরায়েলে ফিরে আসছেন তিনি। যুদ্ধপরাধের দায়ে অভিযুক্ত নেতানিয়াহু হুমকি দিয়েছেন, তিনি ইসরায়েলে ফিরেই নিরাপত্তা কাউন্সিলের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন এবং হিজবুল্লাহকে এই হামলার জন্য উপযুক্ত জবাব দেবেন।
ইসরায়েলের মিত্র যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রটি লেবানন থেকেই ছোড়া হয়েছে। তবে এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ভুলবশত ফুটবল খেলারত শিশুদের উপর পড়তে পারে বলে সন্দেহ করছে তারা।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা আজ রোববার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গতকাল রাতে লেবাননের বিভিন্ন জায়গায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। তবে এসব হামলা এত বড় ছিল না যতটা আশঙ্কা করা হয়েছিল।
এরমধ্যে ইরানও হুমকি দিয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি বলেছেন, ইসরায়েল যদি লেবাননে ‘নতুন অ্যাডভেঞ্চার’ করে তাহলে পরিণতি যা হবে সেটির দায়ভার সব ইসরায়েলের উপর যাবে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসে যোদ্ধারা ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে প্রায় ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলিকে হত্যা করেন। ওই হামলার পর গতকালই ইসরায়েলে কোনো হামলায় একদিনে ১০ জন বা তারও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
সোনালী বার্তা/এমএইচ