এশিয়া কাপের আয়োজক হচ্ছে বাংলাদেশ

বেশ লম্বা সময় পর পুরুষ ক্রিকেটে বড় কোনো ইভেন্ট আয়োজন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ২০২২ সালে নারী এশিয়া কাপ আয়োজন করেছিল বাংলাদেশ। চলতি বছরের অক্টোবরে হবে নারীদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে দেয়া হলো পুরুষদের এশিয়া কাপ আয়োজনের দায়িত্ব। ১১ বছরের পর আরও একবার বাংলাদেশে হবে ২০২৭ সালের এশিয়া কাপের আয়োজক।
৬ষ্ঠ বারের মতো বাংলাদেশে হবে এশিয়ান ক্রিকেটের শ্রেষ্ঠত্বের এই লড়াই। ১৭তম এই আসরের আগে আরো পাঁচবার এই টুর্নামেন্টের আয়োজক ছিলো লাল-সবুজরা। ১৯৮৮ সালে তৃতীয় আয়োজক হিসেবে আবির্ভাব হয় বাংলাদেশের। ১ যুগের বিরতি দিয়ে ২০০০ সালে দ্বিতীয়বারের মতো এশিয়া কাপ বসে বাংলাদেশে।
২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ছিলো না এশিয়া কাপের আয়োজন। সবশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা যৌথভাবে করেছিল শেষ এশিয়া কাপ। ২০২৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে আবার ফিরবে এশিয়ান ক্রিকেটের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই। ২০২৫ সালে ভারতের এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে এসিসি। উদ্দেশ্য পরের বছরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি।
একই নিয়ম মেনেই ২০২৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপকে সামনে রেখে একই বছরের এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হবে ওয়ানডে ফরম্যাটে। এশিয়া কাপের পরই দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে ও নামিবিয়ায় বসবে বিশ্ব ক্রিকেটের শ্রেষ্ঠত্বের আসর।
ওয়ানডে ফরম্যাটের সেই আসর আয়োজনের জন্য বিসিবির ওপরেই আস্থা রেখেছে এশিয়ান ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)। এর আগে ২০২৫ সালের এশিয়া কাপের আসর বসবে ভারতে। এই দুই আসরের স্পন্সরশিপ রাইটের জন্য বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করেছে তারা। ২০২৭ এর আসর ওয়ানডে ফরম্যাটে হলেও ২০২৫ সালের এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে।
ফরম্যাটে অবশ্য কোনো পরিবর্তন আসছে না। দুই আসরেই থাকবে ১৩ টি করে ম্যাচ। বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা– এশিয়ার এই পাঁচ টেস্ট খেলুড়ে দেশের সাথে যুক্ত হবে বাছাই পর্ব পেরিয়ে আসা একটি দল। ৬ টি দলকে দুই গ্রুপে ভাগ করে প্রতিটি দল খেলবে দুটি করে ম্যাচ। এরপর দুই গ্রুপের সেরা দুই দল নিয়ে রাউন্ড রবিন পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে সুপার ফোর। দুই ধাপে ৬ টি করে মোট ১২ টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার পর সুপার ফোরের সেরা দুই দল নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে ফাইনাল।
সোনালী বার্তা/এমএইচ