রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৩২ পূর্বাহ্ন

১২ বছর পর নতুন অ্যালবাম নিয়ে ফিরছে চন্দ্রবিন্দু

বিনোদন প্রতিবেদক / ১৬৭ Time View
Update : সোমবার, ২৯ জুলাই, ২০২৪

‘চন্দ্রবিন্দু’ ছাড়া যেমন বাংলা ব্যঞ্জন বর্ণমালা অসম্পূর্ণ, তেমনই বাংলা ব্যান্ডের তালিকা একদম খাপছাড়া ‘চন্দ্রবিন্দু’ ছাড়া। চন্দ্রবিন্দুর যেমন গানের সুর, তেমনই কথার ধার! অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়, চন্দ্রিল ভট্টাচার্য ও উপল সেনগুপ্তের শুনেই বড় হয়েছে বাঙালির একটা প্রজন্ম।

যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বদল এসেছে ভাবনায়। ২০১২ সালে শেষ অ্যালবাম মুক্তি পেয়েছিল চন্দ্রবিন্দুর। এরপর কেটেছে ১২ বছর। অবশেষে উপল-অনিন্দ্যরা ফিরছেন নিজেদের দশম অ্যালবাম নিয়ে। ওটিটি প্লে-র সঙ্গে এই সুখবর ভাগ করে নিয়েছেন তারা।

নতুন অ্যালবাম সেপ্টেম্বরে ভক্ত-অনুরাগীদের মাঝে প্রকাশ করা হবে। টিম চন্দ্রবিন্দু গান নিয়ে এখনই কিছু বলেননি। তবে ভারতীয় প্রতিবেদন অনুযায়ী, চন্দ্রিলের ‘প্রধানমন্ত্রী প্লিজ, আমাকে একটা মেয়ে দেখে নিন’ গানটা এই অ্যালবামের অংশ হবে। বছর পাঁচেক আগেই দশম অ্যালবামের প্রস্তুতি শুরু করেছিল চন্দ্রবিন্দু, কিন্তু কাজ মাঝপথে থেমে যায়। জানা যায়, জয় সরকারের মতো ইন্ডাস্ট্রির কাছের বন্ধুরাও এই প্রোজেক্টের অংশ হবে।

চন্দ্রবিন্দুর অন্যতম গায়ক উপন ভারতীয় গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের শেষ অ্যালবাম রিলিজের পর অনেকটা সময় পার করে ফেলেছি। আমরা মাঝে অনেক গান বানিয়েছি, কিন্তু নয়-এরপর আর অ্যালবাম তৈরি করা হয়ে ওঠেনি। আমাদের অনুরাগীরা লম্বা সময় ধরেই চাইছেন আমরা একটা অ্যালবাম নিয়ে আসি। সম্প্রতি আমি, অনিন্দ্য আর চন্দ্রিল ভাবলাম এবার একটা অ্যালবাম রেকর্ড করা যাক’।

অনিন্দ্য-উপল-চন্দ্রিল ছাড়াও রেকর্ডিং-এ থাকবেন ব্যান্ডের গিটারিস্ট সুরজিৎ মুখোপাধ্যায়, বেস গিটারিস্ট অরূপ পোদ্দার, ড্রামার রাজশেখর কুণ্ডু, কী-বোর্ড প্লেয়ার শিবব্রত বিশ্বাস এবং পারকুশনিস্ট সৌরভ চট্টোপাধ্যায়।

‘ভিনদেশী তারা’ কিংবা ‘বন্ধু তোমায় এ গান শোনাব বিকেলবেলায়’ ছাড়া তো কলেজ জীবনই বৃথা নব্বইয়ের দশকে বেড়ে ওঠা প্রজন্মের। নয় নয় করে ৩৫ বছর ছুঁতে চলেছে গানের দল চন্দ্রবিন্দু। চন্দ্রবিন্দু মানেই কলেজ জীবনের নস্ট্যালজিয়া।

উল্লেখ্য, ১৯৯৭ সালে মুক্তি পেয়েছিল চন্দ্রবিন্দুর প্রথম অ্যালবাম ‘আর জানি না’। তবে দ্বিতীয় অ্যালবাম ‘গাধা’য় ভর করে জনপ্রিয়তা পান উপলরা। তাদের অষ্টম অ্যালবাম ‘U/A’ দুর্দান্ত সাড়া ফেললেও নবম অ্যালবাম শ্রোতাদের মনে দাগ কাটেনি। ১২ বছর পর সেই কালো দাগ মুছে ফেলতে বদ্ধপরিকর অনিন্দ্য-উপলরা।

সোনালী বার্তা/এমএইচ


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর