কালকিনিতে গৃহবধূকে নির্যাতনের ঘটনায় সেই পল্লীচিকিৎসক কারাগারে

মাদারীপুরের কালকিনিতে যৌতুকের দাবিতে এক গৃহবধুকে নির্যাতনের ঘটনার মামলায় সেই পল্লীচিকিৎসক বাবুল আক্তারকে(৫২) কারাগারে প্রেরন করেছে আদালত। নির্যাতনকারী বাবুল আক্তার উপজেলার আলীনগর এলাকার টুমচর গ্রামের মানিক হাওলাদারের ছেলে। বুধবার (৩১ জুলাই) দুপুরে ভুক্তভােগী পরিবার ও মামলা সুত্রে এতথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার আলীনগর এলাকার টুমচর গ্রামের ফজলুর রহমানের মেয়ে গৃহবধূ লাইলি আক্তারের সঙ্গে একই এলাকার বাবুল আক্তারের ২০০০ সালে প্রেমের সম্পর্কের মাধ্যমে বিবাহ হয়। বিয়ের পর থেকে তারা দুজনে মিলে এক সঙ্গে ঢাকায় মেডিসিনের ব্যবসা করে আসছিলেন। এরপর তাদের সংসার জীবনে দুটি সন্তান জন্মলাভ করে। তাদের সন্তান জন্মলাভ করার পরই বাবুল আক্তারের হঠাৎ ভোল্ট পালটে যায়। তিনি যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী লাইলি বেগমকে বাবার বাড়ি থেকে যৌতুকের ১০ লাখ টাকা এনে দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। এক পর্যায় ওই যৌতুকের টাকা আনতে ব্যর্থ হলে বিভিন্ন সময় কারনে অকারনে লাইলি বেগমকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন চালিয়ে আসছে যৌতুকলোভী বাবুল আক্তার। এ ঘটনায় লাইলি আক্তার বাদী হয়ে বাবুল আক্তারকে আসামী করে গাজীপুর আদালতে একটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
এ মামলা করার ফলে বাবুল আক্তার তার স্ত্রী ও সন্তানদের একা ঢাকা ফেলে রেখে দেশে ফিরে নিজ এলাকাতেই ব্যবসা পরিচালনা শুরু করে। এরপর থেকেই বাবুল আক্তার স্ত্রী -সন্তানদের কোন প্রকার খোজখবর বা ভরন পোষন না দিয়ে অন্য এক নারীকে নিয়ে গোপনে সংসার পাতেন। গত ২৯ জুলাই বাবুল আক্তার গাজীপুর আদালতে ওই নির্যাতন মামলায় জামিন চাইতে গেলে আদালতে তাকে কারাগারে প্রেরন করে।
ভুক্তভোগী লাইলি আক্তার জানান, আমি বাবুলের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও যৌতুক মামলা করার পর সে দেশে গিয়ে গোপনে অন্য এক নারীর সাথে সংসার করে আসছে। আমি তাতে বাধা দিলে সে আমাকে ও আমার সন্তানদের হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে। এ ঘটনায় থানাও অভিযোগ করেছি। বাবুল একজন লম্পট প্রকৃত লোক। আমি বাবুলের দৃষ্টান্তমুল বিচার চাই।
সোনালী বার্তা/এমএইচ