এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জামিনে আইনি সহায়তা দেবে সরকার
পরীক্ষার্থী আটকের কোনো তথ্য থাকলে মামলা নম্বরসহ বিস্তারিত helphsc24@gmail.com ইমেইলে পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
কোটা আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার ঘটনায় যাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে কোনো এইচএসসি পরীক্ষার্থী থাকলে তাদেরকে আইনি সহায়তা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে সরকার।
এর মধ্যে আটক পরীক্ষার্থীদেরকে আইনি সহায়তা দিতে আইনজীবী নিয়োগ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
শুক্রবার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের বলেন, আটক পরীক্ষার্থীদের জন্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এম এ খায়ের জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে ৩ পরীক্ষার্থীর জামিন হয়েছে। তাদের দুইজন কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছে এছাড়া আগামী রোববার রাজধানীর রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ ও বিএএফ শাহীন কলেজের আরও দুই পরীক্ষার্থী জামিনের ব্যবস্থা করা হবে।
এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গ্রেপ্তারদের মধ্যে কোনো এইচএসসি পরীক্ষার্থী থাকলে তার পরীক্ষার প্রবেশপত্রসহ অন্যান্য কাগজপত্র আদালতে দিয়ে জামিনের আবেদন করলে সেসব শিক্ষার্থীদের জামিনে মুক্তি পেতে সরকার আইনি সহায়তা দেবে।
এছাড়া গ্রেপ্তার হওয়া যেসব শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ নেই তাদের জামিনের ক্ষেত্রেও সরকার আইনি সহায়তা দেবে, বলেও জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে প্রাণঘাতী সংঘর্ষে ১৮ জুলাই থেকেই স্থবির হয়ে পড়েছিল রাজধানীর জনজীবন। একের পর এক হতাহতের ঘটনা ও বিভিন্ন স্থাপনায় তাণ্ডব চলানোয় উদ্বেগ ছড়ায়। এর মধ্যে বন্ধ করা হয় ইন্টারনেট পরিষেবা, জারি করা হয় কারফিউ এবং সাধারণ ছুটি।
এখন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা আন্দোলন কর্মসূচি প্রত্যাহার করলেও আন্দোলনের মধ্যে সহিংসতায় মামলা ও গ্রেপ্তারের ঘটনায় ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচিও পালন করেছে আন্দোলনকারীদের একাংশ।
তবে ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার ডটকমকে বলেছিলেন, কোনো শিক্ষার্থীকে হয়রানি করা হচ্ছে না। যারা কেবল নাশকতার সাথে জড়িত শুধু তাদেরকে আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশ কাজ করছে।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ‘কোনো বিরোধ নেই’ এবং তাদের ব্যাপারে পুলিশ অত্যন্ত ‘সংবেদনশীল’ বলেও ভাষ্য এই কর্মকর্তার।
সোনালী বার্তা/এমএইচ