শিশু ছেলের জন্য চকলেট নিয়ে ফেরা হল না ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী আরিফের

গাজীপুর বোর্ড বাজার এলাকায় বসবাস করতেন মোঃ আরিফ হোসেন রাজিব (২৬)। কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় গত ২০ জুলাই শনিবার কারফিউ চলাকালীন নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙ্গারী দোকানে যাওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাকে গাজীপুর সদর মেডিকেলে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার গজরা ইউনিয়নের টরকী এওয়াজ গ্রামের রজ্জব প্রধানের ছেলে নিহত আরিফ। গতকাল তার পরিবারের সদস্য ও স্ত্রীর সাথে কথা হলে তারা এসব তথ্য জানান। আরিফ হোসেন রাজিবের ৩ বছর বয়সী ইব্রাহিম নামে একটি শিশু পুত্র রয়েছে।
আরিফ হোসেনের স্ত্রী শরিফা বেগম বলেন, আমার জীবনের প্রদীপ মনে হয় নিভে গেল। আমি এখন অন্ধকারে পড়ে গেলাম। আমার স্বামী (আরিফ) দোকানে যাওয়ার কথা বলে শনিবার বিকাল ৩ টার দিকে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। কিছুক্ষণ পরেই জানতে পারি আরিফ গুলি খেয়ে আহত হয়েছে। পরে তাকে হাসপাতাল নিয়ে যাই। আমার অনেক অভাবে সংসারে চলতে সমস্যা, তাই কারফিউর মধ্যেও দোকানে গিয়েছিল আরিফ। যাওয়ার সময় ছেলে ইব্রাহিম অনেক কান্না করছিল, তাকে বলেছিল দোকান থেকে আসার সময় তার জন্য চকলেট নিয়ে আসবে।
তিনি আরও বলেন, আমি এখন কি করব, কিছুই বুজতে পারছি না। একটি ছেলে সন্তান রেখে আরিফ এভাবে চলে গেলো। আমি এখন অসহায় হয়ে পড়লাম। সরকার যদি আমাকে কোন সহযোগিতা করে তাহলে আমার অনেক উপকার হবে।
স্ত্রী সন্তান নিয়ে গাজীপুর বোর্ড বাজার এলাকায় থাকতেন আরিফ। গত ২১ জুলাই রাঢ়ীকান্দি কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এদিকে গজরা ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শহীদ উল্লাহ প্রধান বলেন, আমার জানামতে আরিফ একজন খুবই গরীব পরিবারের সন্তান। তিনি কোন রাজনীতির সাথে জড়িত নেই। সে পরিবারসহ গাজীপুর থাকতো। তার একটি শিশু সন্তান রয়েছে। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি, নিহত আরিফের পরিবারকে সাহায্য সহযোগিতা কামনা করছি।
প্রকাশ ২৯/০৭/২৪ ইং
সোনালী বার্তা/এমএইচ