পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্ত চেয়ে শেখ হাসিনার বিচার দাবি
২০০৯ সালে সংঘটিত পিলখানা হত্যাকাণ্ডের নিরপেক্ষ পুনঃতদন্ত দাবি করেছে ‘সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী সরকারি চাকরিজীবী (অব.) পরিবার সমবায় সমিতি লিমিটেড’। ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেখ হাসিনার বিচার দাবি করেছেন তারা।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে সমিতির বক্তারা এ দাবি জানান।
তিনি বলেন, দেশ শাসনে শেখ হাসিনা ভারতের আস্থা, বিশ্বাস অর্জন ও সহযোগিতার জন্য পরিকল্পিতভাবেই দরবার হলের অনুষ্ঠানে সেনা অফিসারদের একত্রিত করে হত্যার মহোৎসব চালিয়েছিলেন বলে আমরা বিশ্বাস করি।
তিনি বলেন, কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী-জনতা, নারী-শিশুদের পাখির মতো গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক সেনাবাহিনী ও বিডিআরের (বিজিবি) ভাইদের হত্যা ছাড়াও ক্ষমতায় আঁকড়ে থাকতে রাষ্ট্রের নাগরিক ও সমাজের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ বাহিনীকেও ব্যবহার করে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।
মানববন্ধনে সমিতির সভাপতি শফিকুর রহমান জামাল বলেন, সরকার এই হত্যাকাণ্ডকে বিডিআর বিদ্রোহ হিসেবে বললেও মূলত এটা ছিল সেনা অফিসারদের হত্যার ছক। ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে হত্যার নিরপেক্ষ পুনঃদন্তের দাবি জানাচ্ছি।
শফিকুর রহমান বলেন, সেদিনের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের নাটের গুরু ছিলেন শেখ হাসিনাসহ তার প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা তারেক সিদ্দিকী। সরকার নিজেই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে নিরপরাধ অফিসার ও জোয়ানদের ফাঁসিয়ে শত শত বিডিআর সদস্যকে মৃত্যুদণ্ডসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও প্রায় সাড়ে ১৮ হাজার জোয়ানকে চাকরিচ্যুত করেছিলেন। যার ফলে আমরা গত ১৬ বছর ধরে মানবেতর জীবনযাপন করছি।
শফিকুর রহমান বলেন, আমরা খুনি হাসিনা ও তার দোসরদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে মিথ্যা সাক্ষী না দেওয়ায় ও চাকরিচ্যুত নিরপরাধ বিডিআর (বিজিবি) সদস্যদের চাকরিতে পুনর্বহালের দাবি জানাচ্ছি।
সোনালী বার্তা/এমএইচ