নির্বাচনের ঘোষণা দিলে দেশে ফিরবেন শেখ হাসিনা: টাইমস অব ইন্ডিয়াকে জয়
বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনের ঘোষণা দিলে শেখ হাসিনা দেশে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। টাইমস অব ইন্ডিয়াকে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি থেকে মুঠোফোনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
ছাত্র–জনতার আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর তিনি বোন শেখ রেহানাকে সঙ্গে নিয়ে ভারতে পালিয়ে যান। এর মধ্য দিয়ে তাঁর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের টানা সাড়ে ১৫ বছরের ক্ষমতার অবসান ঘটে।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমানে নেতৃত্বশূন্যতায় ভুগছে আওয়ামী লীগ। বাংলাদেশের অনেক স্থানে দলটির নেতা-কর্মীদের ওপর একের পর এক হামলার খবর আসছে। নিরাপত্তাহীনতায় আত্মগোপনে আছেন দলটির সিংহভাগ নেতা। এমন পরিস্থিতিতে দলের হাল ধরার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন জয়।
টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে জয় বলেন, আমি রাজনীতিতে আসতে প্রস্তুত। দল ও দলের কর্মীদের রক্ষায় যা করা দরকার, তার সবটাই আমি করব। যদিও এর আগে তিনি বলেছিলেন, রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার কোনো ইচ্ছা নেই তাঁর।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দিন নির্বাহী আদেশে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গৃহবন্দী অবস্থা থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, দ্রুতই দেশে ফিরবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এ খবর প্রকাশিত হওয়ার পরই মূলত রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার বার্তা দিলেন সজীব ওয়াজেদ জয়।
টাইমস অব ইন্ডিয়াকে জয় বলেন, আমাকে যদি রাজনীতিতে যোগ দিতে হয়, তবে আমি তা থেকে নিজেকে বিরত রাখব না। আমার মা এ মেয়াদ পূর্ণ করেই রাজনীতি থেকে অবসর নিতেন। আমার কখনোই রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা ছিল না। আমি যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাস করছি। তবে বাংলাদেশে কয়েক দিন ধরে চলা ঘটনাপ্রবাহে নেতৃত্বশূন্যতা তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় দলের জন্য আমাকে সক্রিয় হতে হবে। এখন আমিই সামনে আছি।
আপাতত কোনো দেশের কাছে শেখ হাসিনার রাজনৈতিক আশ্রয় চাওয়ার পরিকল্পনা নেই বলে দাবি করেছেন জয়। তিনি বলেন, ‘এখন তিনি (শেখ হাসিনা) ভারতে অবস্থান করছেন। অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিলে তিনি বাংলাদেশে ফিরবেন। আমার মায়ের জীবন বাঁচানোয় আমি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে কৃতজ্ঞ।’
জয় আক্ষেপ করে বলেন, আত্মসমালোচনা করার সুযোগ থাকা উচিত। আপনি যখন একটি দেশ চালাবেন, তখন আপনাকে প্রতিদিন অনেক সিদ্ধান্ত নিতে হয়। সে ক্ষেত্রে নিশ্চিতভাবে ভুল হবে। আওয়ামী লীগ আত্মসমালোচনায় বিশ্বাস করে এবং আমরা সে জন্য প্রস্তুত আছি। কিন্তু এবার আমাদের আত্মসমালোচনা করার সুযোগ দেওয়া হয়নি। তাঁদের (শিক্ষার্থী) দাবি মেনে নেওয়ার পরও পরিস্থিতি যে এত দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে উঠবে, তা আমরা কখনোই ভাবিনি।
সোনালী বার্তা/এমএইচ