২১ আগস্ট: গ্রেনেড হামলার ২০ বছর আজ
আজ ২১ আগস্ট, ২০০৪ সালের এই দিনে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা হয়। সেই হামলায় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বেঁচে গেলেও, দলটির নারীনেত্রী আইভী রহমানসহ ২৪ জন নেতাকর্মীর মৃত্যু হয়।
সেদিন বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সমাবেশের আয়োজন করে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে একটি খোলা ট্রাকে বানানো উন্মুক্ত মঞ্চে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা।
বিকাল ৫টার দিকে বুলেটপ্রুফ একটি গাড়িতে সমাবেশস্থলে আসেন তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। প্রায় ২০ মিনিট বক্তৃতা দেন তিনি। সময় তখন বিকাল ৫টা ২২ মিনিট। ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ বলে বক্তৃতা শেষ করে তার হাতে থাকা একটি কাগজ ভাঁজ করতে করতে এগোতে থাকলেন ট্রাক থেকে নামার সিঁড়ির কাছে। কয়েকজন ফটোসাংবাদিক শেখ হাসিনাকে একটু দাঁড়াতে বললেন ছবি তোলার জন্য। মুহূর্তেই শুরু হলো গ্রেনেড হামলা। দফায় দফায় বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ।
হামলায় নিহতদের স্মরণে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নির্মিত শহীদ বেদিতে প্রতিবছর পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করা হতো। এবার কোনো কর্মসূচি ঘোষণা করেনি ক্ষমতাচ্যুত দল আওয়ামী লীগ। প্রতিবছর আলোচনাসভা করা হলেও এবার তাও হচ্ছে না।
সে সময়ে দলীয় নেতারা এবং শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত দেহরক্ষী তাৎক্ষণিকভাবে এক মানববলয় তৈরি করে নিজেরা আঘাত সহ্য করে শেখ হাসিনাকে গ্রেনেডের হাত থেকে রক্ষা করেন। হামলায় অল্পের জন্য শেখ হাসিনা বেঁচে যান।
ওই ঘটনায় প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের সহধর্মিণী ও আওয়ামী লীগের তৎকালীন মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। নিহত অন্যরা হলেন নিরাপত্তারক্ষী ল্যান্স করপোরাল (অব.) মাহবুবুর রশীদ, আবুল কালাম আজাদ, রেজিনা বেগম, নাসির উদ্দিন সরদার, আতিক সরকার, আবদুল কুদ্দুস পাটোয়ারী, আমিনুল ইসলাম মোয়াজ্জেম, বেলাল হোসেন, মামুন মৃধা, রতন শিকদার, লিটন মুনশী, হাসিনা মমতাজ রিনা, সুফিয়া বেগম, রফিকুল ইসলাম (আদা চাচা), মোশতাক আহমেদ সেন্টু, মোহাম্মদ হানিফ, আবুল কাশেম, জাহেদ আলী, মোমেন আলী, এম. শামসুদ্দিন এবং ইসাহাক মিয়া প্রমুখ।
সোনালী বার্তা/এমএইচ