গাজীপুরে খুলেছে বেশিরভাগ পোশাক কারখানা
গাজীপুরে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করায় খুলে দেওয়া হয়েছে বেশিরভাগ তৈরি পোশাক কারখানা। আজ সকাল থেকে দলে দলে কারখানায় আসছেন শ্রমিকরা। কারখানা এলাকায় নিরাপত্তায় পুলিশ মোতায়েন ছাড়াও রয়েছে সেনাবাহিনী ও বিজিবির টহল।
বিভিন্ন যানবাহনে ও হেঁটে শ্রমিকরা কারখানায় এসে আইডি কার্ড দেখিয়ে ভেতরে প্রবেশ করছেন তারা। কারখানা নিরাপত্তায় নিজস্ব নিরাপত্তা কর্মী ছাড়াও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া বিজিবি ও সেনাবাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে।
শিল্প মালিক, শ্রমিক সূত্রে জানা গেছে, টানা কয়েকদিন শ্রমিক অসন্তোষ, বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ, কারখানা ভাঙচুরের ঘটনায় গাজীপুরে অর্ধশতাধিক কারখানায় ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। পরে বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিজিএমইএ এর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ও সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার আশ্বাস পেয়ে বৃহস্পতিবার কারখানা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেন মালিকরা। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সকাল থেকে গাজীপুর শিল্পাঞ্চলে বেশিরভাগ কারখানা খোলা রয়েছে। কাজে যোগ দিয়েছেন নারী -পুরুষ শ্রমিক সহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
কারখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত কয়েকদিন হামলা, ভাঙচুরের কারণে নিরাপত্তা নিয়ে আতঙ্ক ছিল। কিন্তু প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করায় শ্রমিকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে কারখানায় কাজ যোগদান করেছেন।
এ ব্যাপারে তুসুকা গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার মাসুম হোসেন বলেন, কোনাবাড়ি এলাকায় শ্রমিকরা বিচ্ছিন্নভাবে সড়ক অবরোধ করে। পরে সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়। এ ঘটনা ছাড়া পুরো শিল্পাঞ্চলে শান্তিপূর্ণভাবে শ্রমিকরা কাজ করছেন। শ্রমিক ও মালিকরা চাইছেন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে যেন কারখানা সচল থাকে।
গাজীপুর শিল্পাঞ্চলের-২ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান আহমেদ বলেন, কোনাবাড়ি এলাকায় একটি কারখানায় ঝামেলা ও কয়েকটি ছাড়া বেশিরভাগ খোলা রয়েছে। ইন্ড্রাস্ট্রি এলাকায় নিরাপত্তায় প্রায় এক হাজার শিল্প পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জেলা, মহানগর পুলিশ কাজ করছে। এ ছাড়া বিজিবি ও সেনাবাহিনী টহল দিচ্ছে।
সোনালী বার্তা/এমএইচ