টানা বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা ঢলে মাত্রই কয়েকদিন আগে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার শিকার হয়েছে পূর্বাঞ্চল; বিশেষ করে ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রামসহ ১১টি জেলা। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অর্ধকোটিরও বেশি মানুষ। এই বন্যার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও নতুন করে শঙ্কা জাগাচ্ছে আরেকটি বন্যা।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান বলেন, সেপ্টেম্বরের শেষদিকে নদ-নদীগুলোর পানি বাড়তে পারে। তবে এ মুহূর্তে বলতে পারি, বন্যার তেমন ঝুঁকি নেই। আকস্মিক বন্যার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট পূর্বাভাস তিন দিন আগে দেওয়া যেতে পারে। ক্ষেত্রবিশেষে এটি কম-বেশিও হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসের ১০-১৫ দিনের মধ্যে বন্যার আশঙ্কা না থাকলেও সেপ্টেম্বরের শেষদিকে আকস্মিক বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। সিলেট, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের পাশাপাশি এ বন্যা গ্রাস করতে পারে উত্তরাঞ্চলকে। এর মধ্যে অন্যতম লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, রংপুর, নীলফামারী, নওগাঁ ও দিনাজপুর জেলা।

চলতি মাসের শেষদিকে সিলেট, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রামের পাশাপাশি আকস্মিক বন্যার কবলে পড়তে পারে উত্তরাঞ্চল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রাকৃতিক এ দুর্যোগ মোকাবেলায় আগাম প্রস্তুতির পাশাপাশি প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদে অবকাঠামোগত উন্নয়ন।

তবে, এবারের বন্যাটি হতে পারে স্বল্পমেয়াদি। আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান বলেন, দেশের উত্তরাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। নতুন করে বন্যা হতে পারে কুমিল্লা ও ফেনী অঞ্চলেও।

সোনালী বার্তা/এমএইচ