তথ্য চেয়ে ভিসি-ডিসি-এসপি-হাসপাতালে প্রসিকিউশনের চিঠি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ঘটনার তথ্য, হতাহতের তথ্য এবং মামলার তথ্য চেয়ে দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, সকল জেলার ডিসি, এসপি, সিভিল সার্জন ও সকল সরকারি হাসপাতালে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
সোমবার দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম ও বিএম সুলতান মাহমুদ। এছাড়া সকল গণমাধ্যমের কাছে জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের ফুটেজ চেয়েও অনুরোধপত্র পাঠানো হয়েছে।
পাশাপাশি দেশের বড় কবরস্থানগুলোর তত্ত্বাবধায়কদের কাছেও চিঠি পাঠানো হয়েছে। সেসব কবরস্থানে পরিচয় এবং বেওয়ারিশ কতজনকে দাফন করা হয়েছে তার তথ্য চাওয়া হয়েছে।
এর আগে এক ব্রিফিংয়ে রবিবার চিফ প্রসিকিউটর বলেন, সম্ভাব্য প্রধান অপরাধী দেশ থেকে পালিয়েছেন তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য আইনি প্রক্রিয়া সেটা আমরা শুরু করবো। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের অপরাধী প্রত্যার্পণ চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে ২০১৩ সালে। শেখ হাসিনা সরকারের সময়ে এ চুক্তিটি হয়েছিলো। তিনি যেহেতু বাংলাদেশে গণহত্যার প্রধান আসামি হবেন মনে করি। বা অধিকাংশ মামলায় তাকে আসামি করা হয়েছে। সতুরাং এ প্রক্রিয়া শুরুর মাধ্যমে তাকে আইনগতভাবে বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার চেষ্টা করবো।
৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে গণহত্যা চালানোর অভিযোগে ভারতে অবস্থান করা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অন্তত ১১টি পৃথক অভিযোগ দায়ের করা হয়। বর্তমানে সেগুলো তদন্ত পর্যায়ে রয়েছে।
গত ৫ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর নিয়োগের কথা জানিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটর অনুবিভাগ।
এতে প্রধান প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। এছাড়া সুপ্রিম কোর্টের আরও চারজন আইনজীবীকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর নিয়োগ পাওয়া বাকি চার আইনজীবী হলেন মো. মিজানুল ইসলাম, গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামিম, বি এম সুলতান মাহমুদ ও আবদুল্লাহ আল নোমান।
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার।
এই ট্রাইব্যুনালে ইতোমধ্যে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অনেকের বিচার ও সর্বোচ্চ শাস্তি কার্যকর হয়েছে। তার মধ্যে জামায়াতে ইসলামীর বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতার ফাঁসি ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত আরও কয়েকজনের বিচার ট্রাইব্যুনালে চলছিল।
সোনালী বার্তা/এমএইচ