সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৫৯ পূর্বাহ্ন

বন্ধ হয়ে গেল বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন

নিজস্ব প্রতিবেদক / ৩৪ Time View
Update : মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দিনাজপুরের পার্বতীপুরে বড়পুকুরিয়া কয়লা ভিত্তিক ৫২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রর উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।

বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির তিনটি ইউনিটের মধ্যে সচল থাকা তৃতীয় ইউনিটে সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।

আগে থেকেই প্রথম ও দ্বিতীয় ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ ছিলো। এর আগে গত ৫ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) বিকেলে ১ মাস ৬ দিন বন্ধ থাকার পর তৃতীয় ইউনিটের উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হয়। এই ইউনিট থেকে প্রতিদিন ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হতো।

জানা যায়, চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হারবিন ইন্টারন্যাশনালের সাথে পাঁচ বড়পুকুরিয়া খনি থেকে কয়লা উৎপাদনের চুক্তি হয়। যার মেয়াদ আগামী বছর শেষ হবে। চুক্তি মোতাবেক ৫২৫ মেগাওয়াট বড়পুকুরিয়া কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন সচল রাখতে ছোট ধরনের মেরামত ও যন্ত্রাংশ সরবরাহের কথা থাকলেও তার কিছুই করেননি চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এ কারণেই বিদ্যুৎ উৎপাদন কাজ ব্যহত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।

বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তিনটি ইউনিটের মধ্যে প্রতিটি ইউনিট সচল রাখতে দুটি করে ইলেকট্রো হাইড্রোলিক অয়েল পাম্প দরকার হয়। এর মাধ্যমে এসব ইউনিটের জ্বালানি তেল সরবরাহ করে উৎপাদন কার্যক্রম সচল রাখে। কিন্তু ২০২২ সাল থেকেই তিনটি ইউনিটের দুটির মধ্যে একটি পাম্প নষ্ট থাকায় যেকোনো সময় বন্ধের ঝুঁকি নিয়ে বিকল্প হিসেবে একটি ইলেকট্রো হাইড্রোলিক অয়েল পাম্প দিয়ে চলে আসছিল এর উৎপাদন কার্যক্রম। ফলে মাঝে মধ্যেই যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বন্ধ হতো তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন।

বড়পুকুরিয়া কয়লা-ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, এক মাস ৬দিন বন্ধ থাকার পর গত শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টা ১৭ মিনিট থেকে এ উৎপাদন শুরু হয়। যা দুদিন পরেই আবার বন্ধ হয়ে গেল। একটি পাম্প দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছিল। কিন্তু ওই একটি পাম্পও সোমবার নষ্ট হয়ে যাওয়ার পর দিনব্যাপী চেষ্টা করেও চালু করা সম্ভব হয়নি। ফলে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে উৎপাদন।

তিনি আরও জানান, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে জানানো হয়েছে তারা দু’সপ্তাহ সময় চেয়েছেন। চীন থেকে মেশিন এলেই উৎপাদন শুরু করা যাবে।

সোনালী বার্তা/এমএইচ


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর