বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:০১ অপরাহ্ন

২৭ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়্যান্ট

আন্তর্জাতিক ডেস্ক / ২৭ Time View
Update : বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

কোভিড-১৯-এর একটি সংক্রামক রূপ যাকে XEC নামে ডাকা হচ্ছে সেটি ইউরোপ জুড়ে আরও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এবং শিগগিরই প্রভাবশালী স্ট্রেনে পরিণত হতে পারে। বিজ্ঞানীরা বিষয়টি সতর্ক করেছেন। -এনডিটিভির।

বিবিসি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন ভ্যারিয়্যান্টটি প্রথম জুনে জার্মানিতে শনাক্ত করা হয়েছিল এবং তারপর থেকে যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ডেনমার্ক এবং অন্যান্য বেশ কয়েকটি দেশে XEC ছড়িয়ে পড়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে, নতুন ভ্যারিয়্যান্টটি ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের একটি সাবলাইনেজ, কিন্তু এর মধ্যে কিছু নতুন মিউটেশন রয়েছে যা এটিকে শরতকালে ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করতে পারে। যদিও ভ্যাকসিনগুলি কোভিড -১৯-কে গুরুতর ক্ষেত্রে প্রতিরোধ করতে সহায়তা করবে। XEC ভেরিয়েন্ট হলো আগের ওমিক্রন সাবভেরিয়েন্ট KS.1.1 এবং KP.3.3 এর একটি হাইব্রিড, যা বর্তমানে ইউরোপে প্রভাব বিস্তার করছে।

এখন পর্যন্ত- পোল্যান্ড, নরওয়ে, লুক্সেমবার্গ, ইউক্রেন, পর্তুগাল এবং চীনসহ ২৭টি দেশের ৫০০টি নমুনাতে XEC পাওয়া গেছে। বিশেষজ্ঞরা ডেনমার্ক, জার্মানি, যুক্তরাজ্য এবং নেদারল্যান্ডসে ভ্যারিয়্যান্টটির শক্তিশালী বৃদ্ধির দিকে ইঙ্গিত করেছেন।

ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের জেনেটিক্স ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর প্রফেসর ফ্রাঁসোয়া ব্যালোক্স বিবিসিকে বলেন, যদিও সাম্প্রতিক অন্যান্য কোভিড ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় XEC-এর ‘সামান্য ট্রান্সমিশন সুবিধা’ রয়েছে, তবুও ভ্যাকসিনগুলোকে ভালো সুরক্ষা দিতে পারে। তবে তিনি আরও যোগ করেছেন যে XEC শীতকালে প্রভাবশালী সাবভ্যারিয়েন্ট- এর রূপ নিতে পারে।

ক্যালিফোর্নিয়ার স্ক্রিপস রিসার্চ ট্রান্সলেশনাল ইনস্টিটিউটের পরিচালক, এরিক টোপোল বলেছেন- ‘XEC সবে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। তবে এটি গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়তে কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাস পর্যন্ত সময় নিতে পারে। ’

XEC ভেরিয়েন্টের উপসর্গগুলি আগের কোভিড ভ্যারিয়েন্টগুলির মতো, যার উপসর্গের মধ্যে রয়েছে জ্বর, গলা ব্যথা, কাশি, ঘ্রাণশক্তি হ্রাস, ক্ষুধা হ্রাস এবং শরীরে ব্যথা। কিন্তু যেহেতু এটি এখনো একই ওমিক্রন বংশের একটি উপ-পরিবারের অন্তর্ভুক্ত।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভ্যাকসিন এবং বুস্টার শটগুলি যথাযথ নিলে গুরুতর অসুস্থতা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) জনগণকে ভালো স্বাস্থ্যবিধি অনুশীলন করার পরামর্শ দিচ্ছেন। তদুপরি, গবেষকরা এর লক্ষণগুলি আরও ভালোভাবে বোঝার জন্য XEC কে আরও নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

সোনালী বার্তা/এমএইচ


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর