সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:১৮ পূর্বাহ্ন

মাদারীপুরে পূর্ব শত্রুতার জেরে কৃষককে পিটিয়ে হত্যা, বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ

মাদারীপুর প্রতিনিধি / ৪১ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

মাদারীপুরের রাজৈরে পূর্ব শত্রুতা ও মন্দিরের হিসাব নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রশান্ত হালদার (৫৫) নামে এক কৃষককে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। দোষীদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে স্বজন ও এলাকাবাসী। পরে সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে জেলা প্রশাসক মোছাঃ ইয়াসমিন আক্তার এর কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দেন নিহতের পরিবার।

নিহত প্রশান্ত হালদার রাজৈর উপজেলার বাজিতপুর ইউনিয়নের সুতারকান্দি গ্রামের মৃত্যু গণেশ হালদারের ছেলে।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে জানা যায়, গত শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) প্রশান্ত হালদার সন্ধ্যার পরে মশার কয়েল আনার জন্য বাড়ি থেকে বের হন। মশার কয়েল কিনে বাড়ি উদ্দেশ্য রওনা দিয়ে শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দিরের সামনে এলে আগে থেকে অত পেতে থাকা একই গ্রামের সকাল হালদারের ছেলে হরিচান হালদার (৪৫),কার্তিক হালদারের ছেলে রঞ্জিত হালদার (৩০) জীবন হালদারের ছেলে কৃষ্ণ হালদার(৪০) সহ আরো অজ্ঞাত ১০/১২ জন মিলে তার ওপর হামলা চালায়। এসময় তাঁকে বেধরক লাঠিপেটা শুরু করে। একপর্যায়ে প্রশান্তকে গলাটিপে হত্যা করে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা।

এদিকে প্রশান্ত বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরে রাত সাড়ে ৮ টার দিকে পথচারী ও স্থানীয়রা শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দিরের ভিতরে দরজার পাশে তার লাশ দেখতে পেয়ে স্বজনদের খবর দেয় তাঁরা। পরে রাজৈর থানার পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার ময়নাতদন্তের জন্য জেলার সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন।

নিহত প্রশান্তের ছোট ভাই সুশান্ত হালদার বলেন, কয়েক মাস আগে আমার দাদার সাথে মন্দিরের ৫ হাজার টাকার হিসাব নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। পরে স্থানীয়রা শালিসির মাধ্যমে এটা মীমাংসা করে দেন। তাতে হরিচান হালদার ও তার লোকজনেরা সন্তুষ্ট না হয়ে তারই জের ধরে তারা আমার দাদাকে মেরে ফেলেছে। আমরা তাদের ফাঁসি চাই। তিনি বলেন, দাদাই ছিল আমাদের পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তি।
নিহতের স্ত্রী শুশমা হালদার কান্নাজরিত কন্ঠে বলেন, আমি এখন কি করবো। কিভাবে সংসার চালাবো। কে দেখবে আমার এই সন্তানদের। যারা আমার মাথার সিঁদুর কেড়ে নিয়েছে সেই সকল হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।

এছাড়া নিহত প্রশান্ত হালদারের দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে প্রনালী হালদার এবং ছেলে প্রান্ত হালদারের একটাই দাবি, যারা তাঁদের বাবাকে হত্যা করেছে তাদের ফাঁসি চাই। তাঁর বাবাকে যেভাবে হত্যা করেছে সেভাবে তাদেরকে জেনো মারা হয়। সরকার ও প্রশাসনের কাছে তাদের এটাই দাবি।

বাজিতপুর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য তারা মিয়া বলেন, গত শনিবার রাত আনুমানিক ৮টার দিকে হরিচান হালদার, রনঞ্জিত হালদার,কৃঞ্চ হালদার ও অজ্ঞাত ১০/১২ জন মিলে প্রাশান্তকে হত্যা করেছে বলে শুনেছি। পরে গ্রামের মানুষ পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য ঘটনাস্থল থেকে প্রশান্তের মরদেহ নিয়ে যায়। আমরা এই হত্যার বিচার চাই।

রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মাসুদ খান বলেন, ঘটনার দিন পুলিশ প্রশান্ত হালদারের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। রিপোর্ট হাতে পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সোনালী বার্তা/এমএইচ


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর