ভোলায় গ্রামীণ জনউন্নয়ন সংস্থার কিস্তির টাকা না দেওয়ায় গ্রাহকের গরু নিয়ে গেল এনজিও
ভোলার চরফ্যাশনে কিস্তির টাকা দিতে না পারায় এক অসহায় পরিবারের একটি গাভী নিয়ে গেছেন দক্ষিণ আইচা গ্রামীণ জনউন্নয়ন সংস্থা নামের এক এনজিওর মাঠকর্মীরা।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকালে উপজেলার চরমানিকা ইউনিয়ন ৬ নম্বর ওয়ার্ড দৌলতপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী দৌলতপুর গ্রামের কাঞ্চন মিস্ত্রির স্ত্রী কুলসুম বেগম জানান, সম্প্রতি দক্ষিণ আইচা গ্রামীণ জনউন্নয়ন সংস্থা থেকে ৭০ হাজার টাকা ঋণ নেন তিনি। এ ঋণের সপ্তাহে ২ হাজার ৫০০ টাকা করে ১৩টি কিস্তি পরিশোধ করেন তিনি। হঠাৎ দেশের চলমান পরিস্থিতির কারণে ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে না পারায় ওই এনজিওর মাঠকর্মী হাসিনা ও ম্যানেজার মো. শামীম শনিবার বিকালে তার বাড়িতে গিয়ে গোয়ালঘর থেকে একটি গাভী গরু নিয়ে যান। এ সময় গরুটি নিতে নিষেধ করলেও তারা তা শুনেননি। গাভীটির চার মাসের একটি বাছুর রয়েছে।
কুলসুম বলেন, আমি কোনো রকম ক্ষেত খামারে কাজ করে সংসার চালাই। আমি তাদের বলেছি সমিতির টাকা পরিশোধ করব, তাও শোনে নাই।
এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে স্থানীয় ইউপি সদস্য ছালাউদ্দিন মুন্সি বলেন, এনজিওর টাকা দিতে না পারায় গোয়ালঘর থেকে একটি গরু ছিনিয়ে নেওয়া অমানবিক কাজ করেছে এনজিওর লোকজন। আইনিভাবে এটা করতে পারে না। তদন্ত করে এনজিওটির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
গরু নেওয়ার কথা স্বীকার করে সংস্থার মাঠকর্মী হাসিনা বেগম বলেন, ‘এনজিও থেকে ৭০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে কয়েকটি কিস্তি চালিয়েছেন কুলসুম বেগম। এরপর ঋণখেলাপি করছেন তিনি। সেই টাকা পরিশোধ করতে বারবার বলি। টাকা পরিশোধ না করায় তার একটি গরু নিয়ে আসছি।
ম্যানেজার মো. শামীম বলেন, ‘কিস্তির টাকা পাওনা থাকায় একটি গরু নিয়ে আসছি।
এ বিষয়ে দক্ষিণ আইচা থানার বারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাঈদ আহমেদ সাংবাদিকদেরকে বলেন। এখন পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে
সোনালী বার্তা/এমএইচ