মাদারীপুরে অজ্ঞাত রোগে আক্রান্তের পর অজ্ঞান হয়ে একই বিদ্যালয়ের ৭ ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাদেরকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রোববার থেকে সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সদর উপজেলার ছিলারচর ইউনিয়নের রঘুরামপুরে এ ঘটনা ঘটে।
অসুস্থ সবাই রঘুরামপুরের এনতাজ উদ্দিন খান পাবলিক হাই স্কুলের ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তারা হলো, শিলা, রূপা, রিয়া মনি, রিম্পা রায়, মহিমা আক্তার, লাবিবা ও তানিমা।
অসুস্থ শিক্ষার্থী ও তার পরিবারের সদস্যরা জানায়, এক সপ্তাহ আগে ওই বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী নীলা মনি শ্রেণিকক্ষে পাঠদান অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকে মাদারীপুর ও রাজধানীর ঢাকায় চিকিৎসা শেষে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। নীলা মনি বাড়িতে এলে তাকে দেখতে রোববার সকালে ওই শিক্ষার্থীর বাড়িতে যায় ৯ম শ্রেণির বেশ কয়েকজন স্কুলছাত্রী।
পরে দুপুরে নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে এলে একে একে অসুস্থ হয়ে পড়ে তারা। রোববার দুপুর থেকে সোমবার দুপুর পর্যন্ত অজ্ঞান হয়ে ৯ম শ্রেণির ৭ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়। পরে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় জেলা সদর হাসপাতালে। স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, মানসিক আঘাত পেয়ে অজ্ঞান হয়ে শিক্ষার্থীরা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তাদের সুস্থ করতে দেয়া হয়েছে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা।
হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী মাহিমা জানায়, নীলা মনিকে দেখে আসার পর পরই তারা অসুস্থ হয়ে যায়। তাদের মধ্যে দুইজনের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। বাকিরা অজ্ঞান হয়ে পড়ে। পরে অসুস্থ ৭ জনকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।
আরেক শিক্ষার্থী তানিমা বলেন, আমাদের অসুস্থ বান্ধবীকে দেখতে গিয়েই নিজেরাই অসুস্থ হয়ে পড়ি। এমনটা হবে আমরা কেউই বুঝতে পারি নাই। প্রথমে দুইজন অসুস্থ হয়ে অজ্ঞান হয়ে যায়, পরে সাথে বাকি ৫ জন অসুস্থ হয়ে পড়ে। এখনও সবাই পুরোপুরি সুস্থ হতে পারেনি।
মাদারীপুরের সিভিল সার্জন ডা. মুনীর আহম্মেদ খান বলেন, মানসিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ৭ স্কুলছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ অজ্ঞানও হয়ে যায়। সবাইকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৭ জনের ৫জন এরই মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি চলে গেছে। বাকি দুইজনের বুকে ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট থাকায় হাসপাতালে ভর্তি আছে।
সোনালী বার্তা/এমএইচ