শ্রীপুরে ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিতে মহড়া, হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ
গাজীপুরে শ্রীপুরে এস কিউ গ্রুপের এস কিউ সেলসিয়াস লিমিটেড (সোয়েটার) কারখানার ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিতে কারখানার সামনে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ৮/১০টি মোটরসাইকেল ভাংচুরের অভিযোগ করে এক পক্ষ। আতঙ্কে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে আধাঘন্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ টায় শ্রীপুরের মাওনা চৌরাস্তার দক্ষিন পাশে (০২ নং সিএন্ডবি সংলগ্ন) ওই কারখানার সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এস কিউ সেলসিয়াস লিমিটেডের মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান জয়নাল আবেদীন জানান, এস কিউ গ্রুপের ঝুট ব্যবসার জন্য ন্থানীয় কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ক অর্ডার জমা দেন। তাদের মধ্যে থেকে চঞ্চল এন্টারপ্রাইজের স্বত্তাধিকারী এস এম পলাশকে ওয়ার্ক অর্ডার (কাজের আদেশ) দেয় কারখানা কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয়রা জানান, এস কিউ গ্রুপের মহা-ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) নিয়াজ এলাহী খান মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে চঞ্চল এন্টারপ্রাইজকে ওয়ার্ক অর্ডার (কাজের আদেশ) দেয়। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ওয়ার্ক অর্ডারের জন্য আবেদন করা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের লোকদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এর জেরে আজকের এ বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয়রা মনে করছেন। তারা বলেন, কারখানা ভালোই চলছিল। কর্তৃপক্ষের সুষ্ঠু বন্টন না করার কারণে ঝুট ব্যবসা নিয়ে এলাকা পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়েছে।
চঞ্চল এন্টারপ্রাইজের স্বত্তাধিকারী এস এম পলাশ বলেন, কারখানা কর্তৃপক্ষ আমাকে ওয়ার্ক অর্ডার (কাজের আদেশ) দেয়। সে অনুযায়ী বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে ঝুট বের করার জন্য আমার দুটি পিকআপ কারখানায় প্রবেশ করে। পরে সকাল ১০ টার দিকে আবুল কালামের লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে কারখানার সামনে অবস্থান নেয়। এক পর্যায়ে তারা কারখানার সামনে আমার অফিসে হামলা করে ভাংচুর করে। এসময় ৮/১০ টি মোটরসাইকেলও ভাংচুর করে।
এস এম আবুল কালাম আজাদ জানান, এস কিউ সেলসিয়াস লিমিটেডের ঝুট ব্যবসার জন্য আমি কোনো ওয়ার্ক অর্ডার জমা দেইনি। কারখানা কর্তৃপক্ষ এরকম কোনো কাগজ দেখাকে পরাবে না। আমার বিরুদ্ধে হামলার যে অভিযোগ আনা হয়েছে তার সঠিক নয়। আমি বর্তমানে (এ মুহুর্তে) ব্যাক্তিগত কাজে ঢাকায় অবস্থান করছি। কে বা কারা হামলা করেছে এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।
টাকার বিনিময়ে ওয়ার্ক অর্ডার (কাজের আদেশ) দেওয়ার বিষয়ে নিয়াজ এলাহী খানকে (০১৭১১-৬৭ ৭৩ ৪৪) একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল অবেদীন মন্ডল জানান, শ্রীপুর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব এস এম পলাশ এবং আবুল কালাম আজাদের লোকজনের মধ্যে কারখাৃনার বাহিরে বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটেছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক এবং কারখানায় কোনো ভাংচুরের ঘটনা ঘটেনি। সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে কারখানায় উৎপাদন কাজ চলমান রয়েছে।
সোনালী বার্তা/এমএইচ