অবশেষে বঙ্গ বাজারে বাংলাদেশের ইলিশ
যেন তৃষ্ণার্ত চাতক পাখির মতো অপেক্ষারত ছিলেন বঙ্গবাসী। অবশেষে বাংলার বাজারে এসেছে বাংলাদেশের ইলিশ।
পূজার মৌসুমে শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) কলকাতায় প্রথম ধাপে গেছে ৫০ টন বাংলাদেশের ইলিশ। আগামী ১২ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে ধাপে ধাপে যাবে ২ হাজার ৪২০ মেট্রিক টন ইলিশ।
প্রথমদিন পশ্চিমবঙ্গের বাজারে ইলিশের দাম চড়া থাকলেও চাহিদাও রয়েছে প্রচুর। শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেই এসব মাছ বিক্রি হবে কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের খুচরা বাজারগুলোয়। পাইকারি বাজারে ৭০০ গ্রাম থেকে ১ কেজি সাইজের বাংলাদেশের ইলিশ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ রুপি। মান অনুযায়ী অর্থাৎ ১ কেজির ওপরের ইলিশ পাইকারি বাজারে দর উঠেছে ১ হাজার ৮০০ রুপির মতো। খুচরা বাজারে প্রতিকেজি বিক্রি হবে ২ হাজার রুপি থেকে ২ হাজার ২০০ রুপির মতো।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বেনাপোল হয়ে ভারতের পেট্রাপোল সীমান্তে এসে পৌঁছায় ৫০ টন বাংলাদেশের ইলিশ। সেখান থেকে শুক্রবার সকালে সেসব ইলিশ পৌঁছে যায় হাওড়ার পাইকারি মাছ বাজারে। ইলিশ আসায় কিছুটা দাম কমেছে ভারতীয় মাছের বেচাকেনায়। সবারই নজর এখন বাংলাদেশের ইলিশের দিকে। তবে প্রথম ধাপে বাজারে চাহিদা থাকায় দাম আপাতত সাধারণের নাগালের বাইরে।
প্রসঙ্গত, গত বছর ৩ হাজার ৯৫০ মেট্রিক টনের অনুমতি থাকলেও ভারতে এসেছে ৫৮৭ মেট্রিক টন। ফলে পূজার মুখে বহু খুচরো মাছ বিক্রেতা ফিরে গেছে। তাই এবার আর সময় নষ্ট না করে তপনের মতো বহু মাছ ব্যবসায়ী নিজেদের সাধ্যমতো সংগ্রহ করছে বাংলাদেশের ইলিশ।
অপরদিকে ভারতের ফিস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ জানিয়েছেন, প্রথমদিন তাই, বাংলাদেশের ইলিশের দাম বেশি। ফের আগামী মঙ্গলবার গাড়ি ঢুকবে। তারপর ধাপে ধাপে ঢুকতে থাকবে ইলিশ বহনকারী গাড়িগুলো। তখন কিছুটা সাধারণের নাগালের মধ্যে থাকতে পারে।
আগামী ২ অক্টোবর মহালয়ার মধ্য দিয়ে কলকাতায় শুরু হচ্ছে পূজার মৌসুম। ১০ অক্টোবর বিজয়া দশমী। এরপর লক্ষ্মীপূজা, কালীপূজা ইত্যাদি। অপরদিকে আগামী ১২ অক্টোবর পর্যন্ত ভারতে ইলিশ যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ। ফলে সব মিলিয়ে পূজায় মৌসুমে বাংলাদেশের ইলিশের স্বাদ নিতে এখন প্রস্তুত হচ্ছেন বঙ্গবাসী।
সোনালী বার্তা/এমএইচ