মাদারীপুরে ডায়রিয়া-নিউমোনিয়ার প্রকোপ, সেবা দিতে হিমশিম
মাদারীপুরে হঠাৎ বেড়েছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ পানিবাহিত রোগের প্রকোপ। এই রোগে আক্রান্ত শুধুমাত্র জেলা সদর হাসপাতালেই ভর্তি হয়েছেন শতাধিক রোগী। আক্রান্তের বেশিরভাগই শিশু ও বৃদ্ধ।
প্রখর রোদের পাশাপাশি ভ্যাপসা গরমে অস্বস্তিকর আবহাওয়ায় পানিবাহিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। রোগীরা ভর্তি হচ্ছে- ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট, জ্বর, বুকে ব্যাথাসহ নানা রোগের উপসর্গ নিয়ে। প্রতিদিন গড়ে ভর্তি হচ্ছেন শতাধিক রোগী। সেবা নিতে বর্হিবিভাগেও বাড়ছে ভীড়। এমন পরিস্থিতিতে হিমশিম অবস্থা চিকিৎসক ও নার্সদের।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ডায়রিয়া রোগীর জন্য জেলা সদর হাসপাতালে ছয়টি আসন থাকলেও বর্তমানে তা বাড়িয়ে ৩২টি করা হয়েছে। পুরাতন ভবনে দেয়া হচ্ছে এই রোগের চিকিৎসা। এছাড়া পানিবাহিত অন্যান্য রোগীদের সেবা হয় ছয়তলা বিশিষ্ট হাসপাতালের নতুন ভবনে।
চন্দ্রপুর থেকে আসা শওকত মিয়া বলেন, আমার বাচ্চার ডায়রিয়া হওয়ায় হাসপাতালে নিয়ে আসি। প্রথমে খারাপ অবস্থা হলেও এখন কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
কালকিনির ভুরঘাটা থেকে আসা দেড় বছরের রাফচানের দাদি দিলরুবা বেগম বলেন, প্রথমে প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে গিয়েছিলাম। অবস্থা খারাপ হওয়ায় সদর হাসপাতালে নিয়ে আসি। চারদিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি। নাতীর জ্বর কমলেও পাতলা পায়খানা এখনো কমেনি।
মাদারীপুর সদর হাসপতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স কল্যাণী সরকার বলেন, হঠাৎ ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। প্রতিদিনই নতুন নতুন রোগী ভর্তি হচ্ছে। তারপরও সাধ্যমতো সেবা দিয়ে যাচ্ছি। আসনের দ্বিগুণ রোগী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
আবহাওয়াজনিত কারণেই পানিবাহিত রোগীর চাপ বেড়েছে জানিয়ে শিশু ও বয়স্কদের প্রতি বেশি যত্নবান হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
মাদারীপুর সদর হাসপতালের তত্ত্বাবধায়ক ও সিভিল সার্জন ডা. মুনীর আহম্মেদ খান বলেন, দূষিত পানির ব্যবহার এই পানিবাহিত রোগের অন্যতম কারণ। পঁচা-বাসি খাবার খেলেও এই রোগ হতে পারে। পানিবাহিত রোগ দেখা দিলে পর্যাপ্ত পরিমাণে তরলজাত খাবার খেতে হবে। এছাড়াও উপসর্গ দেখা দিলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতেও বলেন তিনি।
সোনালী বার্তা/এমএইচ