বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ০২:৪০ পূর্বাহ্ন

অবিরাম বৃষ্টিতে নেপালে ভয়াবহ বন্যা-ভূমিধস, নিহত ১১২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক / ১২৫ Time View
Update : রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

নেপালে ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসে কমপক্ষে ১১২ জন নিহত হয়েছেন। অবিরাম বর্ষণের জেরে দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশজুড়ে সৃষ্ট এই দুর্যোগে তারা প্রাণ হারান। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন আরও বহু মানুষ।

মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে নেপালি সংবাদমাধ্যম কাঠমান্ডু পোস্ট।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত তিনদিন ধরে অবিরাম বর্ষণে দেশজুড়ে ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধস হয়েছে এবং শনিবার রাত পর্যন্ত অন্তত ১১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই দুর্যোগে আরও ৬৮ জন নিখোঁজ হয়েছেন।

শনিবার রাত সাড়ে ১০টায় নেপালের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে ৯৯ জন নিহত, ৬৮ জন নিখোঁজ এবং আরও ১০০ জন আহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

তবে কাঠমান্ডু পোস্টের স্থানীয় সংবাদদাতাদের প্রাপ্ত তথ্য এবং নেপাল পুলিশ ও সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীর সদর দপ্তরের নিশ্চিত হওয়া তথ্যে দেশব্যাপী ১১২ জন মারা গেছেন বলে জানা গেছে। এর মধ্যে ললিতপুরে কমপক্ষে ২০ জন, ধাদিংয়ে ১৫ জন, কাভরে ৩৪ জন, কাঠমান্ডুতে ১২ জন, মাকাওয়ানপুরে ৭ জন, ভক্তপুর ও পাঁচথারে ৫ জন, সিন্ধুপালচোকে ৪ জন, দোলাকায় ৩ জন, ধনকুটায় ২ জন করে প্রাণ হারিয়েছেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতে, পাঁচথার, ঝাপা, মহোত্তারি, কাঠমান্ডু, ললিতপুর, কাভরে, সিন্ধুলি, ধাদিং, সিন্ধুপালচোক, দোলাখা এবং রূপানদেহি জেলায় অন্তত ৬৮ জন নিখোঁজ হয়েছেন।

কাঠমান্ডু পোস্ট বলছে, বন্যা এবং ভূমিধসের জেরে পার্বত্য এই দেশটির অনেক অংশে মানুষের জীবনযাত্রাকে বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে, অনেক মহাসড়ক এবং রাস্তার চলাচল ব্যাহত হয়েছে, শত শত বাড়ি ও সেতু চাপা পড়েছে বা ভেসে গেছে এবং শত শত পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে। সড়ক বন্ধ হয়ে যাওয়র কারণে বিভিন্ন স্থানে হাজার হাজার যাত্রী আটকা পড়েছেন।

বন্যা ও ভূমিধসে নেপালের মধ্য ও পূর্বাঞ্চলীয় জেলাগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কাঠমান্ডু উপত্যকায় কমপক্ষে ৩৭ জন মারা যাওয়ার পাশাপাশি বিশাল ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে। জাতীয় রাজধানী কাঠমান্ডুর সাথে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের সংযোগকারী সমস্ত হাইওয়ে এবং সড়ক সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

শনিবার কাঠমান্ডু উপত্যকায় ১৯৭০ সালের পর থেকে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। মূলত ওই বছর থেকেই দক্ষিণ এইশয়ার এই দেশটি প্রথম দেশে বৃষ্টিপাত পরিমাপ এবং রেকর্ড রাখার ব্যবস্থা শুরু করেছিল।

এছাড়া ধাদিংয়ের ত্রিভুবন মহাসড়কের পাশে ঢ্যাপলে খোলায় ভূমিধসে কমপক্ষে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মৃতদেহ ধ্বংসাবশেষে চাপা পড়া দুটি বাস থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। পরে তাদের ময়নাতদন্তের জন্য মহারাজগঞ্জের টিইউ টিচিং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

সিনিয়র পুলিশ সুপার বসন্ত রাজৌরের মতে, কাঠমান্ডু এবং ধাদিং থেকে পুলিশ শনিবার সন্ধ্যায় এসব মৃতদেহ উদ্ধার করে।

সূত্র: কাঠমান্ডু পোস্ট

সোনালী বার্তা/এমএইচ


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর