বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:২৮ অপরাহ্ন

‘আড়াই’ দিনের টেস্টেও হারল বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক / ২৩ Time View
Update : মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর, ২০২৪

কানপুর টেস্টের দুইদিন বৃষ্টি ও ভেজা আউটফিল্ডের কারণে পরিত্যক্ত হওয়ার পর সবাই ধরেই নিয়েছিল, এই ম্যাচ ড্রয়ের দিকেই যাচ্ছে। কারণ প্রথম দিনের ৩৫ ওভারের পর চতুর্থ ও পঞ্চম দিন হিসেব করলে কানপুর টেস্ট কার্যত পরিণত হয় আড়াই দিনে। এতেও লড়াই করতে পারেননি সাকিব-শান্তরা। এমন টেস্টেও কিনা বড় ব্যবধানে হারতে হল বাংলাদেশকে। হতশ্রী ব্যাটিং প্রদর্শনীতে কানপুরে বাংলাদেশ হারল ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে।

কানপুরের স্টেডিয়ামের সাপেক্ষে রেকর্ড রানতাড়া করে জিততে হতো ভারতকে। তবে সেই রেকর্ডটাও খুব একটা আহামরি কিছু ছিল না ভারতের জন্য। এই মাঠে এর আগে সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড ৮৩। ভারতের সামনে জয়ের জন্য টার্গেট ৯৫ রানের। হাতে দুই সেশনের খেলা বাকি। রান তাড়ায় শুরুতে দুই উইকেট হারালেও খুব একটা ভাবনায় পড়তে হয়নি তাদের।

তরুণ ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল আর অপরপ্রান্তে অভিজ্ঞ বিরাট কোহলি ঠিকই ভারতকে নিয়ে গেলেন জয়ের বন্দরে। কানপুরের বৃষ্টিবিঘ্নিত টেস্টে খেলা হলো সর্বসাকুল্যে আড়াই দিন। দারুণ বোলিং-ব্যাটিং আর আগ্রাসী পরিকল্পনাতেই ভারত আরও একবার প্রমাণ করল কেন তারা টেস্টের ‘নাম্বার ওয়ান’।

৫ম দিনের সকালে বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল যতটা সময় ব্যাট করে যাওয়া। ম্যাচে হারের বদলে ড্র আনতে চেয়েছিলেন টাইগার ব্যাটাররা। কিন্তু, ভাগ্যটাই যে বাংলাদেশের পক্ষে নেই। এর আগে ২০২১ সালে পাকিস্তান এবং ২০১৯ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বৃষ্টিবিঘ্নিত টেস্ট হেরেছিল বাংলাদেশ। ৫ম দিনে সেটারই চিত্রনাট্য টাইগাররা লিখেছে আরেকবার।

দিনের তৃতীয় ওভারে মুমিনুল হকের উইকেট বাদ দিলে প্রথম ১৫ ওভার বাংলাদেশ খেলেছিল বেশ ভালোই। ওপেনার সাদমান ইসলাম এবং নাজমুল হোসেন শান্ত দুজন মিলে গড়েছিলেন ৫৫ রানের জুটি। ভারতের মাটিতে প্রথম বাংলাদেশি ওপেনার হিসেবে ফিফটিও পেয়ে যান সাদমান। তবে সাদমানের ফিফটির ঠিক আগেই বাংলাদেশের ইনিংসে আসে ধাক্কা। রবীন্দ্র জাদেজাকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে ব্যাটে বল পাননি শান্ত। বল আঘাত করে স্ট্যাম্পে। ৯১ রানে বাংলাদেশের তৃতীয় উইকেটের পতন।

এখান থেকেই বাংলাদেশের ধসের শুরু। ৯১ রানে ২ উইকেট থেকে বাংলাদেশের স্কোর হয় ৯৪ রানে ৭ উইকেট। মাঝে ৩ রান তুলতেই নেই ৫ উইকেট। আকাশ দীপের বলে অফ স্টাম্পের বাইরের বলে শট খেলতে গিয়ে জয়সওয়ালের হাতে ক্যাচ দেন সাদমান। লিটন এসেছিলেন। ১ রানের বেশি করা হয়নি তারও। জাদেজার লাফিয়ে ওঠা বলে খোঁচা দিতে গিয়ে ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে ঋষভ পান্তের হাতে। এই বিপর্যয়ের শেষ উইকেট সাকিব আল হাসানের। ২ বলে শূন্য করে ফেরেন বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডার।

ব্যাট করতে নেমে সেই আগ্রাসী সূচনাই করে ভারত। রানতাড়ায় প্রথম ২ ওভারে ১৮ রান দেওয়ার পর তৃতীয় ওভারে উইকেট পেয়েছে বাংলাদেশ। মিরাজকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ওভারের প্রথম বলে লং লেগে হাসান মাহমুদকে ক্যাচ দিয়েছেন রোহিত। নতুন ক্রিজে শুভমান গিলকে এলবিডব্লু করে বাংলাদেশকে দ্বিতীয় উইকেট এনে দিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

বিরাট কোহলিকে নিয়ে এরপরের কাজটা সহজেই শেষ করেছেন যশস্বী জয়সওয়াল। পেয়েছেন ফিফটি। দলকে নিয়ে গেছেন জয়ের বন্দরে। অবশ্য ম্যাচ শেষ করা হয়নি তার। জয় থেকে তিন রান দূরে থাকতেই বিগ শট খেলতে গিয়ে হয়েছেন আউট। ঋষভ পান্ত শেষ পর্যন্ত নিলেন উইনিং রান। ব্যাটিং-বোলিং আর মাঠের বাইরের প্ল্যানিং– সবখানেই দাপট দেখিয়ে ভারত টেস্ট জিতল ৮ উইকেটের ব্যবধানে। সঙ্গে ম্যান ইন ব্লুদের বিপক্ষে বাংলাদেশেরও টেস্ট ফরম্যাটে জয়ের অপেক্ষা বাড়ল আরও কিছুদিনের জন্য।

সোনালী বার্তা/এমএইচ


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর