শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ০৬:২০ পূর্বাহ্ন

শাক-সবজিই এখন ‘বিলাসী পণ্য’

নিজস্ব প্রতিবেদক / ১৩৯ Time View
Update : সোমবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৪

নিম্ন আয়ের মানুষ গুলোর মাছ-মাংস খাওয়া সাধ্য ছিল না, তাদের একমাত্র ভরসা ছিল শাক-সবজিতে। কিন্তু সেই শাক-সবজিই এখন বিলাসী পণ্যে পরিণত হয়েছে। দিন দিন সবজিতে উচ্চ মূল্যের উত্তাপ ছড়াচ্ছে। ফলে কেনা তো দূরের কথা, হাত দেওয়াই দুষ্কর হয়ে পড়েছে। বাজারে একশ’ টাকার নিচে কোনো সবজি এখন পাওয়া যাচ্ছে না। জনসাধারণের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে শাক-সবজি।

এখন নিম্ন আয়ের মানুষগুলোর চোখে মুখে হতাশার ছাপ। তারা এখন ঠিকমত খাবারও পাচ্ছে না ।

ঢাকার কয়েকটা বাজারগুলোতে ঘুরে দেখা গেছে, আড়াইশ’ গ্রাম কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। সে হিসেবে প্রতি কেজির দাম পড়ে ৪২০ টাকা। এক কেজি টমেটোর দাম ২৬০ টাকা, ধুন্দল ১০০ থেকে ১২০ টাকা, করলা ১০০ থেকে ১২০ টাকা, বরবটির কেজি ১৬০ টাকা, চিচিঙ্গার কেজি ৮০ টাকা, পটল ১০০ টাকা, ওলকচু ৮০ থেকে ১০০ টাকা, কচুর ছড়া ১০০ টাকা, কচুর লতি ১০০ টাকা, ছোট আকারের লাউ ৭০-৮০ টাকা, কুমড়ার কেজি ৫০ টাকা, শসা ৮০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, গাজর ১৮০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ১০০ টাকা। ছোট আকারের কুমড়ার শাক কিংবা লাউ শাকের আঁটি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, কলমি শাকের আঁটি ২০ টাকা, লাল শাকের কেজি ১০০ টাকা।

মিরপুর ১২ এলাকার বাসিন্দা রুবেল হোসেন সোনালী বার্তাকে বলেন, এক কেজি ধুন্দল কিনেছি ১২০ টাকা দিয়ে। কিন্তু এ ধুন্দলের স্বাভাবিক দাম ছিল ২৫ থেকে ৩০ টাকা। ১২০ টাকা দিয়েই তিন থেকে চার ধরনের শাকসবজি কেনা যেত। কাঁচা তরকারির যে দাম বেড়েছে, এতে আমাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে।

তিনি আরও বলেন, আমি একজন নিম্ন আয়ের মানুষ যদি এভাবে বাজারে কাঁচা শাক-সবজির দাম বাড়তে থাকে তাহলে আমাদের মত মানুষের মরে যেতে হবে। মনে করে ছিলাম শেখ হাসিনার পতনের পর আমরা শান্তিতে বাঁচতে পারবো, কিন্তু এখন যে পরিস্থিতি তাতে মনে হয় হাসিনা সরকার ভালো ছিলো।

মেজবাহ উদ্দিন নামে আরেক বাসিন্দা বলেন, মাছ-মাংসের দাম বেশি। তাই সাধারণ জনগণের ভরসা ছিল শাক-সবজি। কিন্তু সেটাও আমাদের সাধ্যের মধ্যে নেই। একশ’ টাকা কেজির নিচে সবজি কেনা যায় না। এ অবস্থায় মানুষ খাবে কী?

মিরপুর-১২ একজন কাঁচা মালের ব্যবসায়ী বলেন, আমাদের কিছু করার নেই আমরাও পাইকারি বেশি দামে কিনতে হয়। অন্যান্য জেলা থেকে সবজি নিয়ে আসতে হয়। উৎপাদন কম হওয়ার সেখানেও দাম বেশি। তাই আমাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হয়।

সোনালী বার্তা/এমএইচ


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর